সম্প্রতি “ভয়ংকর যুদ্ধ দেখবে বিশ্ব!!ইউক্রেনের পথে বৃটেনের দেওয়া সমরাস্ত্র!!!” ক্যাপশনে একটি ভিডিও ফেসবুকে প্রচুর শেয়ার হয়েছে। মূলত উক্ত ভিডিওটির ক্যাপশনটি মিথ্যা। ভিডিওতে দৃশ্যমান ব্রিটিশ সৈন্যদল ইউক্রেনের পথে যাচ্ছে না, বরং ন্যাটোর একটি মিশনের অংশ হিসেবে মেডিকেল উপকরণ এবং ট্যাংকসহ এস্তোনিয়ায় যাচ্ছে।
গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ এর মাধ্যমে অনুসন্ধান করে দেখা যায় “Sky News”নামের একটি ব্রিটিশ গণমাধ্যম ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে “Ukraine invasion: Drone footage shows British troops arriving in Estonia: The deployment is a part of a NATO mission and comes as Russia invades Ukraine”. শিরোনামে ভিডিওটি প্রকাশ করে। ভিডিওটি দেখুন এখানে ।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে ব্রিটিশ সৈন্যদল, চিকিৎসা সামগ্রী এবং ট্যাংকসহ ন্যাটোর একটি মিশনের অংশ হিশেবে এস্তোনিয়ায় গিয়েছে।
পরবর্তীতে বিভিন্ন কী-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে দেখা যায় “Msn” নামের এই আন্তজার্তিক সংবাদমাধ্যমটিও “British tanks arrive in Estonia” শিরোনামে একই ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওটি দেখুন এখানে।
এস্তোনিয়া: উত্তর-পূর্ব ইউরোপের এই রাষ্ট্রটি ১লা মে ২০০৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে এবং একই বছরের ২৯শে মার্চ থেকে ন্যাটো জোটভুক্ত হয়।
ন্যাটো: উত্তর আটলান্টিক নিরপত্তা জোট বা ন্যাটো। North Atlantic Organization ন্যাটো একটি সম্মিলিত প্রতিরক্ষা গোষ্ঠী। যার পূর্ণ নাম উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটো (North Atlantic Organization)। সম্ভাব্য হুমকি, আক্রমণ থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে ন্যাটোভুক্ত দেশসমূহ একে অন্যের সীমান্তে সৈন্য এবং সমরাস্ত্র মোতায়েন করে থাকে।
ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে প্রচেষ্টা চালালেও এখনো পর্যন্ত তা হতে পারেনি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পায়নি। সঙ্গত কারণেই যুক্তরাজ্য আইনত প্রত্যক্ষভাবে ইউক্রেনে সৈন্য এবং সমরাস্ত্র পাঠাতে পারে না।
সুতরাং, “ভয়ংকর যুদ্ধ দেখবে বিশ্ব!!ইউক্রেনের পথে বৃটেনের দেওয়া সমরাস্ত্র!!!” শিরোনামটিকে মিথ্যা হিসেবে সাব্যস্ত করেছে ফ্যাক্টওয়াচ। ন্যাটোভুক্ত দেশ বৃটেন ন্যাটোর সাথে যৌথভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এস্তোনিয়া সীমান্তে সৈন্য এবং সমরাস্ত্র পাঠিয়েছে, ইউক্রেনে নয়।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?