গত ০৫ আগস্ট ২০২৪ এ ছাত্র এবং জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লিগ সরকারের পতনের পর নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে কেন্দ্র করে যমুনা টেলিভিশন এবং প্রথম আলো’র ব্যানারে কিছু ফটোকার্ড সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা গেছে, উক্ত ফটোকার্ডগুলো ভুয়া। যমুনা টিভি এবং প্রথম আলো তাদের ব্যানারে ছড়ানো ফটোকার্ডগুলোকে “ভুয়া” বলে চিহ্নিত করেছে। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফটোকার্ডগুলোকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করছে।
যমুনা টিভি এবং প্রথম আলো’র ব্যানারে ছড়ানো দুটো ফটোকার্ড দেখুন এখানে এবং এখানে।
অনুসন্ধান:
সামাজিক মাধ্যমে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে কেন্দ্র করে যমুনা টিভি এবং প্রথম আলো’র ব্যানারে ছড়িয়ে পড়া ফটোকার্ডগুলোর যথাযথতা যাচাই করতে আমরা উক্ত সংবাদমাধ্যমগুলোর ওয়েবসাইট এবং অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ঘেঁটে দেখি। আমাদের অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডগুলোর অনুরূপ কোন ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে যমুনা টেলিভিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে গত ০৭ আগস্ট ২০২৪ এ একটি পোস্ট শেয়ার করে জানানো হয়েছে, তাদের ব্যানারে ছড়িয়ে পড়া ফটোকার্ডটি ভুয়া। অন্যদিকে, প্রথম আলো তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে গত ০৯ আগস্ট ২০২৪ এ একটি পোস্ট শেয়ার করে জানিয়েছে, তাদের নামে ছড়ানো ফটোকার্ড এবং এতে থাকা তথ্যগুলো নকল।
অতএব, উপরের আলোচনা থেকে বুঝা যাচ্ছে, মাশরাফি বিন মুর্তজাকে কেন্দ্র করে যমুনা টিভি এবং প্রথম আলো’র ব্যানারে ছড়ানো ফটোকার্ড এবং এর বক্তব্যগুলো ভুয়া।
সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ফটোকার্ডগুলোকে মিথ্যা বলে সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।