ব্রাজিলের বন্যার্তদের জন্য ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড দান করেছেন মেসি – যমুনা টিভির আদলে বানানো এমন একটি ফটোকার্ড ঘুরে বেড়াচ্ছে ফেসবুকে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, যমুনা টিভির পক্ষ থেকে এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করা হয় নি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকেও এ সংবাদের অসত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। Argentine Legends নামক একটি ব্যঙ্গাত্মক ফুটবলভিত্তিক পেজ থেকে সর্বপ্রথম এই ভুয়া ফটোকার্ডটি পোস্ট করা হয়, যারা নিয়মিতই বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার আদলে বানানো ব্যঙ্গাত্মক ফটোকার্ড শেয়ার করে থাকে। তাই বানোয়াট এই ফটোকার্ডকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” আখ্যা দিচ্ছে।
গুজবের উৎস
Argentine’s Legends নামক একটি ফেসবুক পেইজ থেকে গত ৭ মে সর্বপ্রথম ফটোকার্ডটি পোস্ট করা হয়। সেখান থেকে অন্যান্য ফেসবুক পেইজেও ফটোকার্ডটি শেয়ার করা হয়। দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান
অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, ব্রাজিলেরদক্ষিণাঞ্চলীয়রাজ্যহিওগ্রাঞ্জেদোসুলেটানাভারীবৃষ্টিতেগত মাসের শেষদিক থেকে ৮০ বছরের ইতিহাসে ভয়াবহবন্যা শুরু হয়েছে। বন্যা ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড়শত ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
আর্জেন্টাইন সেলেব্রিটি ফুটবলার লিওনেল মেসি ব্রাজিলের বন্যার্তদের জন্য কোনোপ্রকার অনুদান দিয়েছেন কিনা সে ব্যাপারে অনুসন্ধানে যা যা জানা গেল –
দ্বিতীয়ত, যমুনা টিভি ছাড়াও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্রাজিলের বন্যার্তদের জন্য মেসির অর্থসাহায্যের সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায় না।
তৃতীয়ত, মেসি ২০০৪ সাল থেকেই বিভিন্ন দাতব্য কর্মসূচির সাথে জড়িত। তার নিজস্ব দাতব্য সংস্থাটির নাম ‘লিও মেসি ফাউন্ডেশন’, যা মূলত বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করে। এই ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে ব্রাজিলের বন্যায় মেসির অনুদানের কোনো উল্লেখ নেই।
চতুর্থত, সর্বপ্রথম Argentines Legends নামক যে পেইজটি থেকে ফটোকার্ডটি শেয়ার করা হয়েছিলো, ঘুরে দেখা গেলো সেটি একটি ব্যঙ্গাত্মক পেইজ। এখান থেকে নিয়মিতই ফুটবল নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট এবং বিভিন্ন বানানো ফটোকার্ড শেয়ার করা হয়ে থাকে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।