৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হলো দেলওয়ার হোসেন সাঈদী নামের ছাগল – এমন সংবাদসম্বলিত ডিবিসি নিউজের আদলে বানানো সাম্প্রতিক একটি ফটোকার্ড ঘুরে বেড়াচ্ছে ফেসবুকে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, ডিবিসি নিউজ এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করে নি। স্থানীয় গণমাধ্যমেও দেলওয়ার হোসেন সাঈদী’ নামক কোনো ছাগল কোরবানির হাটে তোলার সংবাদ নেই। ফটোকার্ডে যে ছাগলটির ছবি ব্যবহৃত হয়েছে সেটির ছবি ২০২০ সালে কোরবানির পশু বিক্রির একটি ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করা হয়েছিলো। তাই বানোয়াট এই ফটোকার্ডকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” আখ্যা দিচ্ছে।
গুজবের উৎস
ঈদ-উল-আজহার প্রেক্ষিতে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ফটোকার্ডটি ফেসবুকে ছড়াতে থাকে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান
ডিবিসি নিউজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটেউক্ত ফটোকার্ড এবং প্রাসঙ্গিক কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায় নি। এছাড়াও স্থানীয় গণমাধ্যমে “দেলওয়ার হোসেন সাঈদী’ নামক কোনো ছাগল কোরবানির হাটে তোলার সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায় না।
ডিবিসির ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ারকৃত ফটোকার্ডগুলোর সাথে ভুয়া ফটোকার্ডের বেশ কিছু অসঙ্গতি লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রথমত, ভুয়া ফটোকার্ডে ডিবিসির যে লোগো ব্যবহৃত হয়েছে ডিবিসির আসল ফটোকার্ডে সেই লোগো ব্যবহৃত হয় না। দ্বিতীয়ত, ডিবিসির আসল ফটোকার্ডে তারিখ থাকে, যা ভুয়া ফটোকার্ডে নেই। তৃতীয়ত, ভুয়া ফটোকার্ডের টেক্সট ও কালার ডিবিসির আসল ফটোকার্ডের টেক্সট ও কালারের চেয়ে ভিন্ন।
পরবর্তীতে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ভুয়া ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ছাগলের ছবিও খুঁজে পাওয়া যায়। গরু হাট নামক একটি ফেসবুক পেইজ থেকে ২০২০ সালের কোরবানি ঈদের সময় বিক্রির জন্য ছাগলটির ছবি পোস্ট করা হয়েছিলো। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে দেলওয়ার হোসেন সাঈদী নামক একটি গরুর দু লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার একটি গুজবও ছড়িয়েছিলো, ফ্যাক্টওয়াচের রিপোর্ট দেখুন এখানে।
সুতরাং উক্ত ফটোকার্ডটি সম্পূর্ণ বানোয়াট হওয়ায় ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।