চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতকে কেন্দ্র করে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য দাবিতে দৈনিক প্রথম আলোর নাম ও লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়েছে। ফটোকার্ডটিতে দাবি করা হচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, 'গাজার ছোট ছোট শিশুদের যারা হত্যা করছে, খুন করছে তাদের নির্মমতা বন্ধ না হলে প্রয়োজনে আমরা সৈন্য পাঠাতে বাধ্য হবো।' ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতকে কেন্দ্র করে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য দাবিতে দৈনিক প্রথম আলোর নাম ও লোগোযুক্ত ফটোকার্ডটি ভুয়া। পত্রিকাটি প্রধান উপদেষ্টার এমন কোনো বক্তব্যযুক্ত ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।
ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ৯ এপ্রিল। এই তারিখ সূত্রে পত্রিকাটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ খুঁজে একইদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে একটি ফটোকার্ড পাওয়া যায়। এই কার্ডটির ডিজাইনের সঙ্গে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতকে কেন্দ্র করে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য দাবিতে ছড়ানো ফটোকার্ডটির মিল রয়েছে।
এই ফটোকার্ডটিতে লেখা, ‘বিশ্বকে বদলে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ক্রেজি আইডিয়ার দেশ… বাংলাদেশ তা সম্ভব করেও তুলছে।’ ফটোকার্ডটির সঙ্গে যুক্ত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, গতকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস এই বক্তব্য দেন।
ফ্যাক্টওয়াচের বিশ্লেষণে এটি স্পষ্ট যে, এই ফটোকার্ডটি এডিট করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতকে কেন্দ্র করে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য দাবিতে মনগড়া একটি মন্তব্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রথম আলোর অনলাইনের প্রধান শওকত হোসেন মাসুমও ফ্যাক্টওয়াচকে নিশ্চিত করেছেন এটি একটি ফেইক ফটোকার্ড।
সার্বিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতকে কেন্দ্র করে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য দাবিতে প্রথম আলোর নাম ও লোগোযুক্ত কার্ডটিকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করছে।
Claim: চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতকে কেন্দ্র করে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য দাবিতে দৈনিক প্রথম আলোর নাম ও লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়েছে। ফটোকার্ডটিতে দাবি করা হচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, 'গাজার ছোট ছোট শিশুদের যারা হত্যা করছে, খুন করছে তাদের নির্মমতা বন্ধ না হলে প্রয়োজনে আমরা সৈন্য পাঠাতে বাধ্য হবো।'
Claimed By: Facebook users
Rating: False
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের
নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে।
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।
কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh