সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খানের উক্তি সংবলিত একটি ফটোকার্ড শেয়ার হতে দেখা যাচ্ছে। তাঁকে উদ্ধৃত করে ফটোকার্ডটিতে লেখা হয়েছে – “নির্বাচনে সহিংসতা খুব স্বাভাবিক ঘটনা দুই একজন নিহতের জন্যে মায়াকান্না না করে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হোন।” তবে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করার জন্য ফ্যাক্টওয়াচ টিম সলিমুল্লাহ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আলোচিত উক্তিটি তাঁর নয় এবং এমন কিছু তিনি কখনো বলেননি কিংবা লিখেননি। তাই সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ ভুয়া উক্তি সংবলিত ফটোকার্ডটিকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করছে।
সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত সলিমুল্লাহ খানের উক্তি সংবলিত ফটোকার্ডটি যথাযথ কিনা তা যাচাই করতে আমরা প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করে কোন আশানুরূপ ফল পাই নি। পরে আলোচিত উক্তিটি সলিমুল্লাহ খান কখনো কোথাও বলেছিলেন বা লিখেছিলন কিনা সেটা নিশ্চিত হতে আমরা তাঁকে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ফটোকার্ডের উক্তির বিষয়টি সম্পর্কে অভিহিত করি৷ আলোচিত উক্তিটি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর সলিমুল্লাহ খান ফ্যাক্টওয়াচকে জানান, “এটা ষোলো আনা মিথ্যা। কোনোদিন এহেন জবান আমার মুখ বা হাত দিয়ে বের হয়নি।”
এর আগে চলমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগেই শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জো বাইডেন এবং নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র – এমন মর্মে দুটো ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল এবং ফ্যাক্টওয়াচ সেই ফটোকার্ড যাচাই করে সেগুলোকে মিথ্যা বলে সাব্যস্ত করেছে। ফ্যাক্টওয়াচের দুটো প্রতিবেদন পড়ুন এখানে এবং এখানে।
অতএব, এই বিষয়টি এখন স্পষ্ট যে, সামাজিক মাধ্যমে সলিমুল্লাহ খানের উক্তি সংবলিত যে ফটোকার্ডটি শেয়ার হয়েছে সেটা ভুয়া।
সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ উক্ত ফটোকার্ডটিকে মিথ্যা বলে সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।