গত ০৫ আগস্ট ২০২৪ এ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারত চলে যাওয়ার পর ০৯ আগস্ট ২০২৪ এ নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন এই দাবিতে পদত্যাগপত্রের একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে তার পদত্যাগপত্রটি যাচাই করে আমরা বেশকিছু অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছি, যা নির্দেশ করছে যে আলেচিত পদত্যাগপত্রটি ভুয়া। তাছাড়া, প্রধান উপদেষ্টা এখনও তার দায়িত্ব বহাল আছেন। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া পদত্যাগপত্রটিকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করছে।
মোহাম্মাদ আরাফাত
Published on: [post_published]
গত ০৫ আগস্ট ২০২৪ এ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারত চলে যাওয়ার পর ০৯ আগস্ট ২০২৪ এ নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন এই দাবিতে পদত্যাগপত্রের একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে তার পদত্যাগপত্রটি যাচাই করে আমরা বেশকিছু অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছি, যা নির্দেশ করছে যে আলেচিত পদত্যাগপত্রটি ভুয়া। তাছাড়া, প্রধান উপদেষ্টা এখনও তার দায়িত্ব বহাল আছেন। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া পদত্যাগপত্রটিকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করছে।
একটি গুজব পোস্টের নমুনা
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগপত্রটি যাচাই করে দেখা গেছে “আমি গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাতে চাই যে, ৫ আগস্টের পরবর্তি বিভিন্ন সহিংসতা ও সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে যেখানে ২১০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং আর কোনো প্রাণহানি এড়ানোর জন্য আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” – এই বাক্যে ‘পরবর্তী’ শব্দটির পরিবর্তে ভুল বানান ‘পরবর্তি’ লেখা হয়েছে।
ড. ইউনূসের পদত্যাগপত্রে আরেকটি মজার বিষয় লক্ষ্য করা গেছে যে, শেখ হাসিনার নামে ভাইরাল হওয়া একটি পদত্যাগপত্রের বক্তব্যের সাথে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগপত্রের বেশ মিল রয়েছে। নিচে পাঠকদের সুবিধার্থে দুটো ছবি পাশাপাশি দেওয়া হলো।
তাছাড়া, যারা তার পদপত্যাগপত্রটি প্রচার করছেন তারা কেউ এর নির্ভরযোগ্য উৎসের সন্ধান দিতে পারেননি।
উল্লেখ্য, নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রীপরিষদে এখনও ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টার পদে বহাল দেখাচ্ছে।
অতএব, উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, সামাজিক মাধ্যমে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যে পদত্যাগপত্রের ছবিটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি ভিত্তিহীন এবং ভুয়া।
সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ এই ভুয়া পদত্যাগপত্রের ছবিকে মিথ্যা বলে সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।
Claim: গত ০৫ আগস্ট ২০২৪ এ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারত চলে যাওয়ার পর ০৯ আগস্ট ২০২৪ এ নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন এই দাবিতে পদত্যাগপত্রের একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে তার পদত্যাগপত্রটি যাচাই করে আমরা বেশকিছু অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছি, যা নির্দেশ করছে যে আলেচিত পদত্যাগপত্রটি ভুয়া। তাছাড়া, প্রধান উপদেষ্টা এখনও তার দায়িত্ব বহাল আছেন। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া পদত্যাগপত্রটিকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করছে।
Claimed By: Facebook Post
Rating: False
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের
নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে।
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।
কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh