জাতীয় নির্বাচনের আগের দিন ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে ফেসবুকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত একটি ঘোষণাপত্র ভাইরাল হয়েছে। সেখানে কিছু হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার দিয়ে বলা হচ্ছে নির্বাচনে সহিংস ঘটনার ভিডিও ধারণ করে নাম্বারগুলোতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন তারেক রহমান। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, বিএনপির অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে এমন কোনো ঘোষণাপত্র পোস্ট করা হয় নি। বরং তাদের অফিশিয়াল পেইজ থেকে ঘোষণাপত্রটি ভুয়া বলে অবহিত করা হয়েছে। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “মিথ্যা” আখ্যা দিচ্ছে।
গুজবের উৎস
নির্বাচনের আগের দিন ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে বিএনপি-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপে এ পোস্ট করা হতে থাকে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান
দেখা যাচ্ছে, বিএনপির কোনো ভেরিফায়েড বা নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে ঘোষণাপত্রটি আসে নি। এদিকে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বিএনপির অফিশিয়াল ফেসবুক থেকে এ ঘোষণাপত্রটিকে ভুয়া বলে সতর্কতামূলক প্রেস রিলিজ পোস্ট করা হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী তার স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজে বলেন – “আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, নিম্নে উল্লেখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি সম্পূর্ণরূপে ভুয়া, বিভ্রান্তিমুলক এবং কোন বিশেষ কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিটির সাথে আমার কোন ধরণের সম্পর্ক নেই। তাই দেশবাসীসহ দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।“
তাই বিএনপির নামে এই সম্পূর্ণ বানোয়াট প্রেস রিলিজের পোস্টকে ফ্যাক্টওয়াচ মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।