সম্প্রতি ঢাকাস্থ পাকিস্তান দূতাবাসের নামে একটি বিবৃতি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বিবৃতিটির সাথে সংশ্লিষ্ট পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, কোটাসংস্কার আন্দোলনের তিনজন সমন্বয়ক পাকিস্তান দূতাবাসের কাছে সাহায্য চেয়েছেন এবং দূতাবাস তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে। তবে ফ্যাক্টওয়াচ টিম অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছে যে, ঢাকাস্থ পাকিস্তান দূতাবাস এমন কোন বিবৃতি প্রকাশ করেনি। দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে ০২ আগস্ট ২০২৪ এ রাত ১১:০৮ মিনিটে একটি পোস্ট শেয়ার করে তাদের নামে প্রচার হওয়া বিবৃতিটিকে “ভুয়া” বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত পোস্টের দাবিটিকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করছে।
অনুসন্ধান:
সামাজিক মাধ্যমে ঢাকাস্থ পাকিস্তান দূতাবাসের নামে প্রচার হওয়া বিবৃতিটির যথাযথতা যাচাই করতে আমরা দূতাবাসটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখেছি। তবে সেখানে আলোচিত বিবৃতিটির অনুরূপ কোন বিবৃতি খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ঢাকাস্থ পাকিস্তান দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে ০২ আগস্ট ২০২৪ এ রাত ১১:০৮ মিনিটে শেয়ারকৃত একটি পোস্ট পাওয়া গেছে, যার ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “Pakistan High Commission strongly refutes fake post circulating on social media.” উক্ত পোস্টের সাথে সংশ্লিষ্ট ছবিতে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভুয়া বিবৃতিটির উপর “FAKE” এর সিল মেরে দিয়ে এটিকে ভুয়া বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থাৎ, ঢাকাস্থ পাকিস্তান দূতাবাসের নামে যে বিবৃতিটি সামাজিক মাধ্যমে বর্তমানে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেটি একটি ভুয়া বিবৃতি।
তাছাড়া, ঢাকাস্থ পাকিস্তান দুতাবাসের অন্যান্য বিবৃতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দের বানানের সাথে আমাদের আলোচিত বিবৃতিটি মিলিয়ে দেখতে গিয়ে সেখানে কিছু অসঙ্গতিও চোখে পড়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এমন কয়েকটি ভুয়া বিবৃতি সংবলিত পোস্টের নমুনা দেখবেন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এবং এখানে।
অতএব, উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, ঢাকাস্থ পাকিস্তান দূতাবাসের নামে যে বিবৃতিটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে সেটি একটি ভুয়া বিবৃতি। স্বয়ং ঢাকাস্থ পাকিস্তান দূতাবাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত পোস্টের সাথে সংশ্লিষ্ট দাবিকে মিথ্যা বলে সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।