মুকেশ আম্বানি পুত্র অনন্ত আম্বানির বিয়েতে অতিথিদের ২% সুদে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করবেন ড. ইউনূস – এমন সংবাদসম্বলিত দৈনিক কালের কণ্ঠের আদলে বানানো একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে পাওয়া যাচ্ছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে উক্ত ফটোকার্ড এবং এতে প্রকাশিত সংবাদ কালের কণ্ঠ এবং বাংলাদেশী ও ভারতীয় কোনো সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যায় নি। ড. ইউনূসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই। তাই ভিত্তিহীন বানোয়াট এই ফটোকার্ডকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” আখ্যা দিচ্ছে।
গুজবের উৎস
ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি-পুত্র অনন্ত আম্বানির বিবাহপূর্ববর্তী অনুষ্ঠানের প্রেক্ষিতে গত ৩ মার্চ থেকে ফটোকার্ডটি ফেসবুকে শেয়ার হতে থাকে। পোস্টটি আপাতদৃষ্টিতে স্যাটায়ার মনে হলেও অনেকেই সত্যি মনে করছেন। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে কালের কণ্ঠের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজ এবং ওয়েবসাইটে এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ পাওয়া যায় নি। কালের কণ্ঠ থেকে মুকেশ আম্বানি পুত্রের বিয়ে সম্পর্কিত শুধুমাত্র নিচের ফটোকার্ডগুলি প্রকাশিত হয়েছে।
ভারতীয় এবং বাংলাদেশের কোনো মিডিয়াতে অনন্তআম্বানিরবিয়ের সাথে ড. ইউনূস সম্পর্কিত কোনো সংবাদ পাওয়া যায় না। প্রফেসর ড. ইউনূসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে অনন্ত আম্বানির বিয়ে সম্পর্কিত কোনো কনটেন্ট খুঁজে পাওয়া যায় নি। তবে ২০১৬ সালে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটিরচেয়ারপার্সননীতাআম্বানিনোবেলবিজয়ের১০বছরপূর্তিউপলক্ষেড. ইউনূসকেঅভিনন্দনওশুভকামনাজানিয়েএকটিভিডিওপ্রকাশকরেছিলেন।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।