যা দাবি করা হচ্ছে: “যারা ফেসবুকে আমার বিরোধিতা করে, তারা স্বাধীনতা বিরোধী, তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে হাড়গুঁড় ভাঙা হবে” — এটা শেখ হাসিনার মন্তব্য দাবিতে সময় টিভির নামে একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
ফ্যাক্টওয়াচের সিদ্ধান্ত: দাবিটি মিথ্যা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন মন্তব্যের কোনো তথ্য মূলধারার জাতীয় বা আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায় নি। তাছাড়া, সময় টিভির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে উক্ত তথ্যসম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায় নি।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া সময় টিভির নামে যে ফটোকার্ডটিতে দেখা যায়, সেখানে শেখ হাসিনার মন্তব্য দাবিতে উল্লেখ করা হয়, “যারা ফেইসবুকে আমার বিরোধিতা করে, তারা স্বাধীনতা বিরোধী, তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে হাড়গুঁড় ভাঙা হবে”। তাই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে গুগলে অনুসন্ধান করা হলে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক মূলধারার গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি। তাছাড়া, ফটোকার্ডটিতে সময় টিভির লোগো থাকায় আমরা সময় টিভির অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে অনুসন্ধান করি। সেখানে এমন কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, ভাইরাল ফটোকার্ডটিতে প্রদর্শিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিটির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য এটা ব্যবহার করে রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গত ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি রিল খুঁজে পাওয়া যায়। রিলটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পোশাকের সাথে ভাইরাল ফটোকার্ডের ছবির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।গত ১০ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রদানের ভিডিও ছিল এটি।
সুতরাং, সকল দিক বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিকে “মিথ্যা” হিসেবে চিহ্নিত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।