গত ২৭ নভেম্বর আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়ি। এ ঘটনায় তাদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ওঠে। ফেসবুকে এ দুর্ঘটনাকে সাজানো ঘটনা দাবিতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, ভাইরাল ভিডিওটি গত অক্টোবর মাস থেকেই ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে। পাকিস্তানের জিও নিউজ একে করাচির একটি ঘটনার ভিডিও বলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছে। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “মিথ্যা” আখ্যা দিচ্ছে।
ভিডিওটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে গত ১৮ ও ১৯ অক্টোবর ইনস্টাগ্রামের দুটো প্রোফাইল থেকে প্রকাশিত একই ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি হলো পাকিস্তানের সংবাদসংস্থা জিও নিউজের ভেরিফায়েড প্রোফাইল, যেখানে ক্যাপশনে এটাকে করাচির একটি ঘটনা বলা হচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশের একটি গ্রুপে ২৪ নভেম্বর একই ভিডিও সম্বলিত একটি রিল পোস্ট করা হয়েছিলো।
কিন্তু আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়ি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ে ২৭ নভেম্বর। সুতরাং এ ভিডিও কোনভাবেই হাসনাত-সারজিসের গাড়ি দুর্ঘটনার ভিডিও হওয়া সম্ভব নয়। পাকিস্তানের করাচির একটি পুরোনো ভিডিওকে হাসনাত-সারজিসের গাড়ি দুর্ঘটনার ভিডিও বলে দাবি করা হচ্ছে। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।
No Factcheck schema data available.
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের
নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে।
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।
কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh