সম্প্রতি প্রথম আলোর নাম ব্যবহার করে সামাজিক মাধ্যমে একটি ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দাবি করা হচ্ছে, “বদলে গেল পুলিশের লোগো নৌকা বাদ দিয়ে আল্লাহু”। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার একটি বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এই দাবিটি ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশ পুলিশের লোগো ও পোশাকে পরিবর্তন আসবে। তবে ঠিক কি পরিবর্তন আসবে তা তিনি বলেননি। তাই ভাইরাল এসব পোস্টে যে নতুন লোগোটির কথা বলা হচ্ছে সেটি ভিত্তিহীন।
এই লোগো সংবলিত কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে।
ভাইরাল দাবির প্রেক্ষিতে কি-ওয়ার্ড দিয়ে অনুসন্ধান করা হলে এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে এটি জানা যায় যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এমন একটি বিষয়ে কথা বলেছেন। সাম্প্রতিক আন্দোলনে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কর্মকর্তা কর্মচারীদের মনোবল ভেঙে যায়। এমন পরিস্থিতিতিতে প্রতিষ্ঠানটির পোশাক এবং লোগোতে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১১ আগস্ট, ২০২৪ এ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন জানান যে, পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন তারা বর্তমান পোশাকে আর কাজে ফিরতে চান না। এরই প্রক্ষিতে এই সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে।
ভাইরাল এই লোগোটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান লোগোটিকেই ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সামান্য বিকৃত করে নতুন লোগোটি তৈরি করা হয়।
উপরের ছবিটি বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান লোগো এবং সেটিকেই এডিট করে নতুন লোগোটি তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া, ফটোকার্ডে সূত্র হিসেবে প্রথম আলোর নাম ব্যবহার করা হলেও মূলত প্রথম আলো এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। বরং তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই ফটোকার্ডটি ভূয়া এবং এটি তাদের তৈরি নয়।
অর্থ্যাৎ, বিষয়টি পরিষ্কার যে, বাংলাদেশ পুলিশের লোগো পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ঠিকই কিন্তু সেটি এখনো পরিবর্তন হয় নি। তাই এই মূহুর্তে নতুন লোগোর ছবিটি ভিত্তিহীন।
সুতরাং, ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল এই দাবিটিকে মিথ্যা চিহ্নিত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।