যাদাবিকরাহয়েছে: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় (এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য) লিটন দাসের বাড়িতে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে।
যাপাওয়াযাচ্ছে: লিটন দাস নয়,বরং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় মাশরাফি বিন মোর্তাজার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। তিনি ধর্মীয়ভাবে মুসলিম এবং আওয়ামীলীগ দলীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। অর্থাত,তার বাড়িতে হামলার এই ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক হামলা নয়, বরং রাজনৈতিক কারণে হামলা বলা যেতে পারে। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ লিটন দাসের বাড়িতে আগুন দেওয়ার তথ্যটিকে “বিভ্রান্তিকর” হিসেবে চিহ্নিত করছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্রিকেটার লিটন দাসের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে এমন একটি খবর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিন্ন ভিন্ন ক্যাপশনে ছড়িয়ে পড়া কোন পোস্টে একটা বাড়ি আগুনে পুড়ছে এমন একটা ছবি দেখা যাচ্ছে, আবার কোন পোস্টে বাড়িটিতে আগুন জ্বলার ভিডিও দেখা যাচ্ছে।
৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে “নড়াইলে আগুনে পুড়লো মাশরাফির বাড়ি” শিরোনামে রাইজিং বিডির একটা খবরে জানা যাচ্ছে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার, জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার নড়াইল শহরের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রিইজিং বিডির খবরে পুড়তে থাকা বাড়িটির ছবির সাথে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পুড়তে থাকা বাড়ির মিল পাওয়া যাচ্ছে।
৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে প্রথম আলোর ইউটিউব চ্যানেলে আগুনে পুড়তে থাকা মাশরাফির বাড়ির ভিডিও আপলোড করা হয়। উক্ত ভিডিওর সাথে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর মিল পাওয়া যায়।
মাশরাফির বাড়িতে আগুন দেওয়ার খবরটি বাংলাদেশের বেশ কিছু গণমাধ্যমে প্রচার করেছে। সেগুলো দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
তাই বলা যায় আগুন লাগা যে বাড়িটি দেখানো হচ্ছে তা লিটন দাসের নয়, বরং মাশরাফির।
তাছাড়া লিটন দাসের বাড়িতে আগুন লেগেছে এমন কোন খবর গণমাধ্যমে পাওয়া যায়নি। তাঁর ফেসবুক একাউন্ট থেকে দেখা যাচ্ছে যে ,গত ৩রা আগস্ট তিনি চলমান আন্দোলনের সমর্থনে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন।
লিটন দাসের বাড়িতে আগুন লেগেছে কিনা তার সত্যতা যাচাই করে ফ্যাক্টচেকিং রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ভারতের জি ২৪ ঘণ্টা, এবং ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো আসাম। তাদের ফ্যাক্টচেকিং রিপোর্টেও বলা হচ্ছে লিটন দাস নয়, মাশরাফির বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সিদ্ধান্ত:
এটা নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত যে ক্রিকেটার লিটন দাস নয়, বরং সাবেক ক্রিকেটার মাশরাফির বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। তাই লিটন দাসের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে এমন সকল ফেসবুক পোস্ট গুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “বিভ্রান্তিকর” হিসেবে চিহ্নিত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।