সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে ‘ভারত তিস্তার গেট খুলে দেওয়ায় সিলেট বন্যায় ভাসবে’, আবহাওয়ার পূর্বাভাস হিসেবে এমন ক্যাপশনের সাথে সিলেটের বন্যা দাবি করে কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, ভিডিওতে প্রদর্শিত বেশ কয়েকটি ক্লিপ সিলেটের বন্যা নয়, বরং ভারত, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার কিছু অঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগের। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এসব পোস্টের শিরোনামকে মিথ্যা আখ্যা দিচ্ছে।
ভিডিওর ২৯ সেকেন্ড অংশে যে বন্যাপ্লাবিত বাঁধের ছবি দেখা যাচ্ছে সেটা বাংলাদেশ-ভারত তিস্তা বাঁধের ভিডিও নয়।
এ ভিডিওটি ভারতের কোশি বাঁধের বন্যার ছবি যেটাKishan নামক ইউটিউব চ্যানেল থেকে ২০১৯ সালের ১৪ই জুলাই প্রকাশ করা হয়। আগেও এ ভিডিওটিকে তিস্তা বাঁধের বলে গুজব ছড়ানো হয়েছিল। এ সংক্রান্ত ফ্যাক্টওয়াচের রিপোর্ট দেখুনএখানে।
ভিডিওর ৩৫ সেকেন্ড অংশে বন্যার পানিতে পিচের রাস্তা ভেঙে যাওয়ার ভিডিও দেখা যাচ্ছে।
এটি ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ভারতের কেরালায় ভারি বর্ষণের ফলে সৃষ্ট দুর্যোগেরভিডিও।
৫৩ সেকেন্ড অংশে যে বন্যাপ্লাবিত এলাকা দেখা যাচ্ছে সেটিও সিলেটের বন্যার ভিডিও নয়।
SMAQ নামক একটি ফেসবুক পেইজের ২০২০ সালের ৩১ মেরপোস্ট থেকে জানা যাচ্ছে এটি ১৯৯৯ সালে ভারতের ওড়িশা রাজ্যে সংঘটিত সুপার সাইক্লোনের ভিডিও।
২.৫৪ মিনিট অংশে বন্যার পানি ভেসে যাওয়ার একটি ক্লিপ দেখা যাচ্ছে।
pexels.com নামক একটি হাই রেজুলিউশান ছবি ও ভিডিও প্রদর্শনীর অনলাইন প্লাটফর্মেএকই ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে যেটা ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি আপলোড করা হয়েছে। অর্থাৎ এ ভিডিও সিলেটের সাম্প্রতিক অথবা গত বছরের বন্যার ভিডিও নয়।
এই ভাইরাল ভিডিওতে অন্তত সাতটি ক্লিপ পাওয়া যাচ্ছে যেগুলো সিলেটের বন্যার ভিডিও নয়, বরং ভারত, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের। তাই উপযুক্ত প্রমাণসাপেক্ষে ফ্যাক্টওয়াচ এ ভিডিও সংকলনের শিরোনামটিকে মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।