যা দাবি করা হচ্ছেঃ গত ১৬ই এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা হওয়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করা হচ্ছে। আবার, একই ভিডিও সৌদি আরবে বন্যার ভিডিও দাবি করেও সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ার করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে যা পাওয়া যাচ্ছেঃ দাবিটি বিভ্রান্তিকর। সাম্প্রতিক সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব এই দুটি দেশের নাম ব্যবহার করে যে ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করা হচ্ছে, সেটি প্রকৃতপক্ষে ২০১৮ সালে সৌদি আরবে সংঘটিত হওয়া একটি বন্যার ভিডিও।
ফেসবুকে শেয়ারকৃত ভিডিওটির সত্যতা ও যথার্থতা যাচাইয়ে কিছু প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড ধরে ফ্যাক্টওয়াচ টিম অনুসন্ধান শুরু করে। উক্ত ভিডিওটিতে বন্যার যে অংশটুকু ব্যবহার করা হয়েছে তার সাহায্যে অনুসন্ধান করা হয়। সেখানে “অ্যাডা মনজোন (Ada Monzon)” নামে একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে গত ২৭ অক্টোবর ২০১৮ এ প্রকাশিত মূল ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।
মূল ভিডিওটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সেসময় সৌদি আরবের তাবুক অঞ্চলে ভারী বর্ষণের কারণে বন্যার সৃষ্টি হয়েছিলো। উক্ত ভিডিওতে বন্যার পানিতে সেখানে থাকা উটদের ভেসে যেতে দেখা যাচ্ছে। এই ভিডিওর সাথে সম্প্রতি ভাইরাল ভিডিওটির পুরোপুরি মিল পাওয়া যায়।
ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওটি সম্পর্কে আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য সৌদি আরব ভিত্তিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানে সৌদি ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম “আল আরাবিয়া (Al Arabiya)” এর ওয়েবসাইটে ২৫ অক্টোবর ২০১৮ এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে ২০১৮ সালে সৌদি আরবের তাবুক অঞ্চলের বন্যাপ্লাবিত হওয়ার ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
অতএব, পরিষ্কারভাবেই বুঝা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের নাম ব্যবহার করে যে ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করা হচ্ছে সেটি প্রকৃতপক্ষে সাম্প্রতিক সময়ের নয়। মূল ভিডিওটি কমপক্ষে ২০১৮ সালের।
তাই সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল ভিডিওর দাবিটিকে “বিভ্রান্তিকর” বলে সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।