গত তিন দিন ধরে ভারী বৃষ্টি এবং ভারতের জলপাইগুড়ির গজলডোবা বাধ দিয়ে পানি ছাড়ার ফলে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলার ত্রিশ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সিরাজগঞ্জেও অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে যমুনার পানি। প্রবল স্রোতে বিভিন্ন স্থানে নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে, ডুবে গেছে আমন ধান ও সবজির ক্ষেত। এই উপলক্ষে ভিন্ন ভিন্ন স্থান ও সময়ের ছবিকে উত্তরবঙ্গের সাম্প্রতিক বন্যার ছবি দাবি করে শেয়ার করা হচ্ছে ফেসবুকে। সঙ্গত কারণে এসব ছবিকে ফ্যাক্টওয়াচ বিভ্রান্তিকর সাব্যস্ত করছে।
বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, বাংলাদেশে গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় তিস্তা নদীর পানি এমনিতেই বাড়ছে। এর মাঝে গতকাল দুই দফায় গজলডোবা বাঁধ দিয়ে প্রায় ১১ হাজার কিউসেক পানি ছেড়েছে ভারত।
এবারের বন্যার কয়েকটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে দেখা যায়, এর একটি ছবি উত্তর কোরিয়ার। ফার্স্টপোস্টের এর একটি খবরে উত্তর কোরিয়ার চায়না সীমান্তের বন্যার এই ছবি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানকার বন্যাটি হয় গত আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে।
অন্য একটি ছবি ২০২২ সালের জুন মাসে কুড়িগ্রামের বন্যার সময়কার। ডেইলি অবজারভার ২০২২ সালের ১৮ জুনের কুড়িগ্রামের বন্যার খবরের সঙ্গে এই ছবি প্রকাশিত হয়েছে। ঐ সময়ে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যা হয়।
এবারের উত্তরবঙ্গের বন্যার ক্যাপশন দিয়ে এই ফেসবুক আইডি থেকে সাতটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে দুটো ছবি নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি।
এই দুটো ছবি সাম্প্রতিক উত্তরবঙ্গের বন্যার সময়কার নয়।
২০২৪ সালে সেপ্টেম্বরের শেষ কয়েকদিনে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের ছয়টি জেলায় বন্যার ছবি হিসেবে যে ছবি গুলি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, তার মধ্যে অন্তত দুটো ছবি এবারের বন্যার নয়। কাজেই, যথার্থ কারণে ফ্যাক্টওয়াচ ছবিগুলোকে বিভ্রান্তিকর বলে সাব্যস্ত করছে।
ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের
নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে।
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।
কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh