সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ক্লিপ দেখিয়ে দাবি করা হচ্ছে, এটি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পূর্বমুহূর্তের ভিডিও। তবে ফ্যাক্টওয়াচ টিম অনুসন্ধান করে দেখেছে, গত ২৬ জুলাই ২০২৪ এ সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন পরিদর্শন করতে যান এবং আলোচিত ভিডিওটি সেই সময় ধারণ করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা গত ০৫ আগস্ট ২০২৪ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন উদ্ভূত গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যান। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত এই ভিডিওর দাবিকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করছে।
অনুসন্ধান:
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল ভিডিওটির দাবি অনুযায়ী এটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার আগ মুহূর্তের ভিডিও। আলোচিত ভিডিওটির উপরে বামপাশে ডিবিসি নিউজের লোগো দেখে আমরা বুঝতে পেরেছি এটি উক্ত সংবাদমাধ্যমের ধারণকৃত ভিডিও। পরবর্তীতে ডিবিসি নিউজের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে হুবহু এই ভিডিওটি খুঁজে দেখা হয়। গত ২৬ জুলাই ২০২৪ এ প্রকাশিত “পুড়ে যাওয়া বিটিভি ভবন দেখে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী | DBC NEWS” শিরোনামে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়, । ভিডিওটি দেখে আমরা জানতে পারি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন পরিদর্শন করতে যান এবং টেলিভিশনের কর্মকর্তাদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলেন।
অন্যদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার আগ মুহূর্তের কোন ছবি কিংবা ভিডিও কোথাও পাওয়া যায়নি। তবে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় নেমেছেন – এই মর্মে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি তাদের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।
অতএব, উপরের আলোচনা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, সামাজিক মাধ্যমে যে ভিডিওটিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের আগমুহূর্তের ভিডিও বলে দাবি করা হচ্ছে, সেটি সঠিক নয়। বরং এটি বিটিভি ভবন পরিদর্শনকালীন সময়ের ভিডিও।
উল্লেখ্য, গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ০৫ আগস্ট ২০২৪ এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং ভারতে পালিয়ে যান।
সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ভিডিওর দাবিকে মিথ্যা বলে সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।