ফাঁস হওয়া প্রশ্নে বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন সুশান্ত পাল – ভূয়া ফটোকার্ড

35
ফাঁস হওয়া প্রশ্নে বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন সুশান্ত পাল – ভূয়া ফটোকার্ড
ফাঁস হওয়া প্রশ্নে বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন সুশান্ত পাল – ভূয়া ফটোকার্ড

Published on: [post_published]

সাম্প্রতিক সরকারি চাকরির প্রশ্নফাঁস ইস্যুতে থ্রেডসে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দৈনিক কালবেলাকে সূত্র দাবি করে বলা হচ্ছে ৩০ তম বিসিএস পরীক্ষায় সুশান্ত পাল ফাঁসকৃত প্রশ্নে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। একই সাথে কালবেলার আদলে বানানো একটি ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে বলা হচ্ছে প্রশ্নফাঁস কান্ডে সুশান্ত পাল দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায়, কালবেলা এবং অন্য কোনো পত্রিকা এমন কোনো সংবাদ অথবা ফটোকার্ড প্রকাশ করে নি। প্রশ্নফাঁস কান্ডে গ্রেফতার হওয়া ড্রাইভার আবেদ আলীর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তার হাত ধরে যারা বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়নের কাজ থেকে শুরু করা হলেও এখন পর্যন্ত এমন কোনো তালিকা প্রকাশিত হয় নি। যেহেতু কালবেলা কিংবা মূলধারার অন্য কোনো পত্রিকা এ ধরনের কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি, তাই ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে ‘মিথ্যা’ সাব্যস্ত করছে।

বিভ্রান্তির উৎস

১৩ জুলাই সকাল থেকে কালবেলাকে সূত্র উল্লেখ করে পোস্টটি থ্রেডসে ভাইরাল হয়। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান

প্রথমত, ফাঁসকৃত প্রশ্নে সুশান্ত পাল প্রথম হয়েছেন বা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন – দৈনিক কালবেলার ফেসবুক পেইজ এবং ওয়েবসাইট সন্ধান করে এমন কোনো সংবাদ এবং ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায় না। মূলধারার গণমাধ্যমেও এমন চাঞ্চল্যকর সংবাদের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় না।

দ্বিতীয়ত, গণমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত ১৭ জনের মধ্যে পিএসসির ড্রাইভার আবেদ আলীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার হাত ধরে যারা বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন, তাদের তালিকা প্রণয়নের কাজ থেকে শুরু হয়েছে। কিন্তু পুলিশ বা কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে এমন কোনো তালিকা এখনও প্রকাশিত হয় নি। প্রশফাঁস কান্ডের সাথে সুশান্ত পালকে জড়িয়ে যে দাবি করা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত সে দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি।

তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কালবেলার নামে বানোয়াট ফটোকার্ড ও ভিত্তিহীন সংবাদ ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.