যাদাবিকরাহচ্ছে: একজন নারীকে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে এমন একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে ছবিতে থাকা ব্যক্তিটি ঢাকার আজিমপুর গভঃমেন্ট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ গীতাঞ্জলি বড়ুয়া ।
যাপাওয়াযাচ্ছে: একজন নারীকে গাছে বেঁধে রাখার ছবিটি আজিমপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ গীতাঞ্জলি বড়ুয়ার নয়, বরং ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীর। তাই অধ্যক্ষ গীতাঞ্জলি বড়ুয়াকে গাছের সাথে বেঁধে রেখেছে — এমন দাবি-সম্বলিত সকল পোস্টকে ফ্যাক্টওয়াচ মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করছে।
ছড়িয়ে পড়া এসব পোস্টের সাথে হয় একটি স্থিরচিত্র রয়েছে অথবা ১৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে একটি মাত্র ছবি আছে এবং এর সাথে একটি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন নারীকে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে এবং তাকে অসংখ্য ছাত্রীরা ঘিরে রেখেছে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে ছবিতে থাকা নারী ঢাকার আজিমপুর গভঃমেন্ট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ গীতাঞ্জলি বড়ুয়া। তাকে পদত্যাগ করানোর জন্য শিক্ষার্থীদের একাংশ তাকে রশি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রেখেছে। পরে সেনাবাহিনী এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
১৯ আগস্ট ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশি গণমাধ্যম আজকের পত্রিকার অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিওর খবরে গাছে বেঁধে রাখা নারী সম্পর্কে জানা যাচ্ছে। উক্ত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, গাছে বেঁধে রাখা নারীটি ঢাকার আজিমপুর গভঃমেন্ট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, কোনোভাবেই অধ্যক্ষ গীতাঞ্জলি বড়ুয়া নয়।
আজকের পত্রিকার খবর থেকে জানা যাচ্ছে আজিমপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষসহ দুইজন শিক্ষিকার পদত্যাগের দাবি করেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। তবে এ সময় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ডেকে এনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার চেষ্টা করান অভিযুক্ত শিক্ষকরা। তখন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রাক্তন একজন শিক্ষার্থীকে গাছের সাথে বেঁধে রাখে।
তবে আজকের পত্রিকার খবর থেকে গাছে বেঁধে রাখা প্রাক্তন ওই শিক্ষার্থীর নাম পরিচয় জানা যায়নি।
১৯ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে বিপি ডিজিটাল নামক ইউটিউব চ্যানেলে আজিমপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষসহ দুইজন শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে করা আন্দোলনের ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ এবং পিওনের বিভিন্ন দুর্নীতি, প্রশ্নফাঁস এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের দিয়ে মারধরের অভিযোগ করেন।
আজিমপুর গভঃমেন্ট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ গীতাঞ্জলি বড়ুয়াকে শিক্ষার্থীরা গাছে বেঁধে রেখেছে, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিটি ব্যবহার করে এমন একটি পোস্ট করেছিলেন ফেসবুক ব্যবহারকারি অনির্বাণ অনিক এবং ধিরাজ বর্মন । তবে তারা পরে পোস্টটি এডিট করে সংশোধন পোস্টে জানান ছবিটি অধ্যক্ষের নয়। রশি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখা ছবিটি প্রাক্তন একজন ছাত্রীর।
অনির্বাণ অনিক এর পোস্টের সম্পাদনার ইতিহাস দেখুন এখানে।
সিদ্ধান্ত:
গাছে বেঁধে রাখা নারীটি ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী , অধ্যক্ষ গীতাঞ্জলি বড়ুয়া নয়। তাই এমন দাবি সম্বলিত সকল পোস্টকে ফ্যাক্টওয়াচ ‘মিথ্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।