পদত্যাগে বাধ্য করার পর স্ট্রোক করে মারা গেছেন এই শিক্ষক?

129
পদত্যাগে বাধ্য করার পর স্ট্রোক করে মারা গেছেন এই শিক্ষক?
পদত্যাগে বাধ্য করার পর স্ট্রোক করে মারা গেছেন এই শিক্ষক?

শুভাশীষ দীপ এবং সুবর্ণ রেখা দোলন

Published on: [post_published]

গত ২৮ আগস্ট ২০২৪ এ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত একটি ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে যে, একজন শিক্ষককে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করায় তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন! তবে ফ্যাক্টওয়াচ টিম অনুসন্ধান করে দেখেছে যে, ভিডিওতে দৃশ্যমান ঐ শিক্ষকের নাম নুরুল ইসলাম এবং তিনি নওগাঁ জেলার হাঁপানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল। গত ২৮ আগস্ট তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় এবং একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেন তিনি স্ট্রোক করেছিলেন। এই শিক্ষকের পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, তিনি বেঁচে আছেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাই ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় এইসকল পোষ্টগুলো মিথ্যা।  

এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করার জন্য শুরুতেই বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড ধরে অনুসন্ধান করে দৈনিক প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ২৮ আগস্ট ২০২৪ এ প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, গত ২৮ আগস্ট নওগাঁ জেলার হাঁপানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। একপর্যায়ে তিনি তার অফিস কক্ষেই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়।

নুরুল ইসলামের বর্তমান অবস্থা জানতে প্রথম আলোর নওগাঁ প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঐ শিক্ষক বেঁচে আছেন। পরবর্তীতে এই প্রতিনিধির মাধ্যমে নুরুল ইসলামের পরিবারের একজন সদস্যের ফোন নাম্বার পাই আমরা। তার সাথে যোগাযোগ করে আমরা জানতে পারি তিনি বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অন্যদিকে ভাইরাল এই ভিডিওটি ২৯ আগস্ট ২০২৪ এ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সালাউদ্দীন নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়। কিন্তু সেখানে ‘হাঁপানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল মারা গেছেন’– এমন কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। এই ভিডিওটিই পরে ডাউনলোড করে ফেসবুকে শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করায় হাঁপানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

সুতরাং, এইসব বিষয় বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ এই পোষ্টগুলোকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোষ্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh