সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি পোস্টে দাবি করা হচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ পদচ্যুত হয়েছেন। কিন্তু, ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম থেকে এমন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি প্রধান পদে এখনও তিনি বহাল আছেন। তাছাড়া, মূলধারার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বেশ কিছু প্রতিবেদনে হারুন অর রশিদকে বর্তমানডিবি প্রধান হিসেবে উল্লেখ করা হয়।সঙ্গত কারণে ভাইরাল হওয়া ভিত্তিহীন তথ্যটিকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ২০২২ সালের ১৩ জুলাই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তার পদবী হচ্ছে “অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ”। সম্প্রতি তিনি এই পদ হারিয়েছেন কি না জানার জন্য প্রাসঙ্গিক কিছু কী ওয়ার্ড ধরে অনুসন্ধান করা হয়। কিন্তু অনুসন্ধানে এ সংক্রান্ত নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
হারুন-অর-রশিদ সম্পর্কে আরও নিশ্চিত ভাবে জানতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে তার ব্যাপারে অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানে ২০২২ সালের ১৩ জুলাই প্রকাশিত হারুন-অর-রশিদের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। এছাড়াও, সিনিয়র অফিসার ডিরেক্টরিতে তার নাম এবং পদবী খুঁজে পাওয়া যায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ডিবি প্রধান হিসেবে হারুন অর রশিদ সম্পর্কিত আরও কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে এবং এখানে।
অন্যদিকে, ফেসবুকে হারুন অর-রশিদের পদচ্যুত হওয়া সংক্রান্ত পোস্টটি গত ২৪ মে থেকে প্রচার হয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু, গত ২৫ মে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান হিসেবেই তাকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। ডিএমপির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এবং মূলধারার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
অতএব দেখা যাচ্ছে যে, হারুন অর রশিদ ফেসবুকে ভাইরাল দাবি প্রচারের পরদিনও ডিবি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার পরবর্তী দিনগুলোতে তাকে পদচ্যুত করার কোনো প্রতিবেদন মূলধারার সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যায় নি। তাই এসব দাবিকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” হিসেবে চিহ্নিত করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?