বেশি বাড়াবাড়ি করলে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের মতো ছাত্রদলকেও আমরা নিষিদ্ধ করে দেবো বাণীতে হাসনাত আবদুল্লাহ- এই বার্তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। গুজবটি ছড়ানো হচ্ছে প্রথম আলোর আদলে বানানো একটি ফটোকার্ড দিয়ে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, প্রথম আলোর নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া। প্রথম আলোসহ অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয় নি। প্রথম আলো তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “মিথ্যা” আখ্যা দিচ্ছে।
প্রথম আলোর ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজএবং ইউটিউব চ্যানেল সন্ধান করে এমন কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায় না। উক্ত ফটোকার্ডের দাবিকে সমর্থন করে এমন কোনো সংবাদ মূলধারার কোনো গণমাধ্যমে পাওয়া যায় নি। ইতোমধ্যে প্রথম আলো তাদের ফেসবুকে পেইজে পোস্টকরে জানিয়েছে যে তাদের নাম ব্যবহার করে ভূয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভ্যারিফাইড ফেসবুক একাউন্ট থেকে পোস্ট করে জানিয়েছেন, “এটি একটি অসত্য বক্তব্য। এ ধরনের কোন বক্তব্য দেওয়া হয়নি। এটি ভুয়া স্টিকার”।
বলাই বাহুল্য, বানোয়াট ফটোকার্ডের নকশা, রং এবং ফন্টের সাথে প্রথম আলোর ফটোকার্ডের ফন্টের পার্থক্য লক্ষণীয়।
সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ এই বানোয়াট ফটোকার্ডকে মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।
No Factcheck schema data available.
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের
নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে।
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।
কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh