তিন লাখ টাকায় গাড়িকে হেলিকপ্টার বানিয়েছেন কাঠমিস্ত্রি – এমন শিরোনামে একটি পোস্ট ফেসবুকে পাওয়া যাচ্ছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, ভারতের উত্তর প্রদেশের একজন কাঠমিস্ত্রি সড়কপথে হেলিকপ্টারে চড়ার অভিজ্ঞতা পাবার জন্য একটি টাটা ন্যানো গাড়িতে রোটর ব্লেড, টেইল বুম সংযুক্ত করে একে হেলিকপ্টারের আকৃতি দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি উড়ে চলতে সক্ষম সত্যিকারের হেলিকপ্টার বানান নি। কিন্তু শিরোনাম দেখে অনেকেই সত্যিকারের হেলিকপ্টার বানিয়েছেন ভেবে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এ শিরোনামকে বিভ্রান্তিকর আখ্যা দিচ্ছে।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে যে, ভারতের উত্তর প্রদেশের আজমগরের কাঠমিস্ত্রি সালমান ৩ লাখ ভারতীয় রুপিতে একটি টাটা ন্যানো গাড়িকে হেলিকপ্টারের আকৃতিতে রূপান্তরিত করেছেন। এতে সময় লেগেছে ৪ মাস। এই আকৃতি দেওয়ার জন্য তিনি গাড়িটিতে রোটর ব্লেড (হেলিকপ্টারের পাখা) এবং টেইল বুম (হেলিকপ্টারের পেছনদিকের লেজের মতো সরু অংশ) সংযুক্ত করেছেন। তবে যেহেতু এটি সত্যিকারের হেলিকপ্টার নয়, শুধুমাত্র দেখতে হেলিকপ্টারের মতো, তাই সাধারণ গাড়ির মতো এটি রাস্তাতেই চলছে। সালমান জানিয়েছেন তিনি সড়কপথে হেলিকপ্টারে চড়ার অভিজ্ঞতা পাবার জন্য গাড়িটিকে এই আকৃতি দিয়েছেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে।
সালমানের এ সড়কে-চলা-হেলিকপ্টার সংক্রান্ত কিছু প্রতিবেদন ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে (দেখুন এখানে, এখানে)। সেখানে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ANI news (Asian News International)-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সালমান বলেছেন যে – আমরা রাস্তায় চলতে পারে এমন একটি হেলিকপ্টার বানিয়েছি। যদি সরকার ও বিভিন্ন কোম্পানি আমাদের সাহায্য করে তাহলে রাস্তায়, পানিতে এবং আকাশে উড়তে পারে এমন হেলিকপ্টারও বানাতে পারবো।
এদিকে উক্ত শিরোনামের মূল সংবাদে এই হেলিকপ্টার আকৃতির গাড়ি যে শুধুমাত্র সড়কপথেই চলতে পারে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হলেও শিরোনাম দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টের শিরোনামকে বিভ্রান্তিকর আখ্যা দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভারতে গাড়িকে হেলিকপ্টারের আকৃতি দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও মিথিলেশ প্রসাদ, গুড্ডু শর্মা এবং দিবাকর কুমার নামের তিনজন প্রত্যেকে আলাদাভাবে টাটা ন্যানো গাড়িকে হেলিকপ্টারের আকৃতি দিয়েছিলেন। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?