সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে হিরো আলমের ওপর হামলা হয়েছিল। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকার চাপে পড়েছেন! এই ঘটনার কারণে প্রধানমন্ত্রীর উপরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে যাচ্ছে! তবে, ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে হিরো আলম শহীদ মিনারে কোনো হামলার ঘটনা ছাড়াই নির্বিঘ্নে ফুল দিয়েছেন। জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে সেদিন তিনি একাধিক সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সেখানে হামলা সংক্রান্ত কোনো কিছুর উল্লেখ করেননি। সঙ্গত কারণে এ সকল দাবিগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে শহীদ মিনারে হিরো আলমের ওপর হামলার কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা জানতে বিভিন্ন কী-ওয়ার্ড ধরে সন্ধান করা হয়। জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনের মাধ্যমেও জানতে চেষ্টা করা হয় সেদিন কোনো হামলার ঘটনা ঘটেছিল কিনা। তবে একাধিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সেদিন হিরো আলমের ওপর হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
উল্লেখ্য, ২১ ফেব্রুয়ারিতে শহিদ মিনারে হিরো আলমের ফুল দিতে যাবার বিষয়টি জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন,” শহীদদের কথা না বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা বলছেন একশন, ডাইরেক্ট একশন, এগিয়ে চলো। … এটাকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন বলে না।“ প্রসঙ্গত, বক্তব্যের কোনোস্থানে হিরো আলম বলেনি, তাকে শহীদ মিনারে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে বা তার ওপর হামলা হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হিরো আলমের এ বিষয়ে কিছু বক্তব্য দেখুন এখানে এবং এখানে।
সুতরাং, গণমাধ্যমে প্রকাশিত হিরো আলমের বিভিন্ন সাক্ষাৎকার দেখে বিষয়টি সুস্পষ্ট যে শহীদ মিনারে হিরো আলমের উপরে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং, তিনি রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বলাবাহুল্য, তাঁর উপরে হামলার কারণে মার্কিন সরকার বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞা দেবে, এই দাবিটিরও কোনো ভিত্তি নেই।
সঙ্গত কারণে শহীদ মিনারে হিরো আলমের ওপর হামলা সংক্রান্ত সকল দাবিগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?