বাংলাদেশে ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ হয়নি

150
বাংলাদেশে ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ হয়নি
বাংলাদেশে ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ হয়নি

ভারতীয় গণমাধ্যম রিপাবলিক বাংলা বাংলাদেশে সকল ভারতীয় স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল বন্ধ- এমন দাবিতে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমে মুহূর্তে সংবাদটি ছড়িয়ে পড়েছে। দাবিটি সত্য ভেবে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন পোস্ট করেছেন। তবে দাবিটি ভিত্তিহীন। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে এ নিয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। যথারীতি বাংলাদেশে ভারতীয় স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার চলছে। তাই এমন দাবি সম্পূর্ণ “মিথ্যা”।

ছড়িয়ে পড়া কিছু পোস্ট এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

বিস্তারিত:

ভারতীয় স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল বন্ধ করার এখতিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রয়েছে। তবে এমনটি ঘটে থাকলে সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হতো। নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রচার হতো। অথচ স্বয়ং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং গণমাধ্যমের কাছেই এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। রিপাবলিক বাংলা এমন দাবি করার পরে বাংলাদেশি গণমাধ্যমকেই বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক করতে হয়েছে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বাংলা ট্রিবিউন যোগাযোগ করেছে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সঙ্গে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোশাররফ আলী চঞ্চল বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, “এটি একটি অপপ্রপচার। সরকারের পক্ষ থেকে এমন কিছু নির্দেশনা নেই। সব চ্যানেলই চলছে”।

অপরদিকে এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদের মন্ত্যব্য হলো, “তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এমন সিদ্ধান্ত হলে আমার জানা থাকত”।  

বলাই বাহুল্য, ইতিপূর্বে চট্টগ্রাম নিয়ে বিতর্কিত প্রতিবেদনের কারণে নিন্দার মুখে পড়ে রিপাবলিক বাংলা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা ছড়ানোর অভিযোগে ১০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে ভারতীয় চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাংলাদেশের ভূখণ্ডে তাদের নিউজ ও কন্টেন্ট নিষিদ্ধ-ব্লক করতে আইনি নোটিশও পাঠানো হয়।

সুতরাং, এটি সুস্পষ্ট যে বাংলাদেশে ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ হয়নি। বরং রিপাবলিক বাংল ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করেছে।

তাই এমন দাবিকে “মিথ্যা” সাব্যস্ত করা হয়েছে।

No Factcheck schema data available.

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে

এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে
ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh