ভারতীয় ইউটিউব চ্যানেলের সাজানো কনটেন্টকে বাংলাদেশে ধর্ষণের দাবিতে প্রচার

29
ভারতীয় ইউটিউব চ্যানেলের সাজানো কনটেন্টকে বাংলাদেশে ধর্ষণের দাবিতে প্রচার
ভারতীয় ইউটিউব চ্যানেলের সাজানো কনটেন্টকে বাংলাদেশে ধর্ষণের দাবিতে প্রচার

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে মাথাবিহীন নারী সদৃশ একটি অবয়ব রেললাইনের ওপর পড়ে রয়েছে। ভিডিওটি দেখে আপাত মনে হচ্ছে অবয়বটি মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে। এর ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে, “জামাত-শিবিরের কর্মীরা ধর্ষণ শেষে তরুণীকে চলন্ত ট্রেনের নিচে রেখে গেছে।" প্রকৃতপক্ষে, ভিডিওটি ভারতীয় বিনোদনমূলক একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হয়েছিল। এটি কোনো বাস্তব ঘটনা না। 

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এই গুজবের কিছু উৎস দেখুন  এখানে,এখানে, এখানে, এখানে

ভিডিওটির কিছু কি- ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ‘JS HAUNTED VLOGS’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে এটি পাওয়া যায়। চ্যানেলটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি একটি ভারতীয় বিনোদনমূলক চ্যানেল। চ্যানেলটিতে থাকা বর্ণনা অনুযায়ী, এখানে “হাস্যকর ও হৃদয়ছোঁয়া” কন্টেন্ট তৈরি করা হয়। গত ১ মার্চ সেখানে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে বিচ্ছিন্ন মাথাটি প্লাস্টিকের তৈরি বলে প্রতীয়মান হয়। 

এছাড়া চ্যানেলটিতে একই ধরনের অনেকগুলো ভিডিও পাওয়া যায়। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মাথাবিহীন অবয়বটি দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করছে।

আবার অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একই জামা পরিহিত অবয়বটি রেল লাইনের উপরে শোয়া অবস্থা থেকে ক্রমশ উঠে বসছে। তা দেখে একজন তরুণ ভয়ে পালাচ্ছেন। 

এসব তথ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিত হওয়া যায়, ভিডিওটিতে দেখানো মাথাবিহীন অবয়বটি বাংলাদেশে জামায়াত- শিবির কর্তৃক ধর্ষণের শিকার কোনো তরুণীর নয়। এটি ভারতীয় চ্যানেলে প্রকাশিত একটি সাজানো কন্টেন্ট। সুতরাং, ফ্যাক্টওয়াচ এ ধরণের দাবিকে ‘মিথ্যা’ বলে চিহ্নিত করছে। 

Claim:
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে মাথাবিহীন নারী সদৃশ একটি অবয়ব রেললাইনের ওপর পড়ে রয়েছে। ভিডিওটি দেখে আপাত মনে হচ্ছে অবয়বটি মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে। এর ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে, “জামাত-শিবিরের কর্মীরা ধর্ষণ শেষে তরুণীকে চলন্ত ট্রেনের নিচে রেখে গেছে।"

Claimed By:
Facebook Users

Rating:
False

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে

এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে
ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh