গাজীপুরে পারিবারিক কোন্দলের ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক হামলা দাবিতে প্রচার

24
গাজীপুরে পারিবারিক কোন্দলের ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক হামলা দাবিতে প্রচার
গাজীপুরে পারিবারিক কোন্দলের ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক হামলা দাবিতে প্রচার

সম্প্রতি ফেসবুকে এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে কুড়াল দিয়ে কোপাচ্ছেন এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। দাবি করা হচ্ছে, এক পরিবারের ৩ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ব্যক্তিকে মুসলিম ব্যক্তি দ্বারা কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা এটি। তবে ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, এটি গাজীপুরে সম্পত্তি নিয়ে মামলার জেরে এক হিন্দু পরিবারে এক চাচাতো ভাই দ্বারা আরেক চাচাতো ‌ভাইকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা। এ ঘটনায় কোনো মুসলিম ব্যক্তির সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

 কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান

রিভার্স ইমেজ সার্চে একই ভিডিও সম্বলিত একাধিক ফেসবুক পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। এসব পোস্টে বলা হচ্ছে, গাজীপুর কালিগঞ্জ ৬ নং ওয়ার্ড চান্দায়া গ্রামে গরুর জন্য কচুরিপানা কাঁটার জন্য একি পরিবারের তিন জনকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়।

প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করে দৈনিক দেশ রূপান্তরের ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখের একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দাইয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত মামলার জেরে চাচাতো ভাইয়ের হাতে আরেক চাচাতো ভাই কুড়ালের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে ৩০ মার্চ দুপুরে, যখন নারায়ণ তার গরুর খাবারের জন্য বাড়ির পাশের পুকুর থেকে কচুরিপানা কাটছিলেন। এ সময় রামচরণ ও তার ছেলে তাকে গালাগালি শুরু করেন। এক পর্যায়ে রামচরণের ছেলে লাঠি নিয়ে নারায়ণকে মারতে গেলে রামচরণ কুড়াল হাতে নিয়ে নারায়ণকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। নারায়ণের স্ত্রী গিরিবালা ও ভাই তাকে বাঁচাতে গেলে গিরিবালাকেও কোপানো হয়।

পরে এলাকাবাসী আহত নারায়ণ ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান।

উক্ত হামলার ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকেও একটি পোস্ট করা হয়েছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং বাংলাদেশ পুলিশের বিবৃতি থেকে স্পষ্ট হয় যে, এ হামলার ঘটনায় কোনো মুসলিম ব্যক্তি জড়িত ছিলেন না এবং এটি সাম্প্রদায়িক কারণে ঘটেনি। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এসব পোস্টকে “মিথ্যা” চিহ্নিত করছে।

No Factcheck schema data available.

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে

এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে
ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh