সম্প্রতি ইসকন কর্তৃক গাজায় খাদ্য বিতরণের দৃশ্য দাবিতে ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু, ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে, এটা গাজায় নয়, মিয়ানমারে ভূমিকম্পে আক্রান্ত এলাকায় ইসকনের খাবার বিতরণের ভিডিও। অন্যদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ইসকন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে কি না নির্ভরযোগ্য কোনো মাধ্যম থেকে এ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সুতরাং ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় ভাইরাল পোস্টগুলো মিথ্যা।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে ইসকন ‘লাইফ ফর ফুড’ কার্যক্রম পরিচালনা করে গাজাবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে। তাই এর সত্যতা যাচাই করার জন্য প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করা হলেও উক্ত দাবিটির সমর্থনে নির্ভরযোগ্য কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে, রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে ইসকন মায়ানমারের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ধারণ করা এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণের একটি লাইভ ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ভিডিওটি মায়ানমারের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য চলতি বছরের ৬ এপ্রিল ‘ইসকন মায়ানমার ফুড ফর লাইফ ফাউন্ডেশন (মান্দালয়)’ কর্তৃক খাদ্য সহায়তা প্রদান করার সময়কার।
এই ভিডিওর সাথে ভাইরাল ভিডিওর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এর একটি নমুনা নিচে তুলে ধরা হলঃ
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের কাছে এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল যার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি অঞ্চল হচ্ছে সাগাইং(Sagaing), মান্দলয়(Mandalay), ম্যাগওয়ে(Magway), বাগো(Bago), শান(Shan) এবং নে পি তাও(Nay Pyi Taw)।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শনের পর ইসকন মায়ানমার জাতীয় পরিষদ একটি ফলো-আপ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এই জাতীয় পরিষদের চেয়ারম্যান বালমুকুন্দ দাসের (Balmukunda Das) সর্বশেষ বিবৃতি অনুসারে, “ইসকনের ফুড ফর লাইফ ফাউন্ডেশনের দলগুলি মান্দালয় এবং সাগাইং এর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রতিদিন খাবার বিতরণ করে চলেছে।
তাই, উপরের উল্লিখিত প্রমাণের ভিত্তিতে ভাইরাল হওয়া পোস্টগুলোকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
Claim: দাবি করা হয়েছে যে এটি যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ইসকনের খাবার বিতরণের দৃশ্য।
Claimed By: Facebook users
Rating: False
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের
নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে।
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।
কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh