যমুনা টিভির লোগোসহ একটি ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়ছে ফেসবুকে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে কোনো রকম বিজ্ঞপ্তি, ট্রেনিং এবং পরীক্ষা ছাড়াই ৯ হাজার শিবির কর্মীকে পুলিশে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, যমুনা টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া। পাশাপাশি, যমুনা টিভিসহ অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়নি। সুতরাং, ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় ভাইরাল পোষ্টগুলো মিথ্যা।
যমুনা টিভির ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেল সন্ধান করে এমন কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে, ভাইরাল ফটোকার্ডে বাংলাদেশ পুলিশের লোগোযুক্ত যেই ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে যমুনা টিভির ফেসবুক পেজে সেই ছবিটি ব্যবহার করে ভিন্ন একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। ফটোকার্ডটি ছিল পুলিশের ৪ কর্মকর্তার বাধ্যতামূলক অবসর সম্পর্কিত। এই ৪ কর্মকর্তা হলেন, অপরাধ তদন্ত বিভাগের উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব) মো. ইমাম হোসেন, হেডকোয়ার্টারের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক খন্দকার লুৎফুল কবির, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মীর রেজাউল আলম এবং নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির।
তাছাড়া, ভাইরাল ফটোকার্ডটির টেক্সট, নকশা, রং এবং ফন্টের সাথে যমুনা টিভির ফটোকার্ডের পার্থক্য লক্ষণীয়।
অন্যদিকে, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ফটোকার্ডের দাবিকে সমর্থন করে এমন কোনো তথ্য মূলধারার কোনো গণমাধ্যমে এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায় নি।
সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল পোষ্টগুলোকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের
নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে।
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।
কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh