সম্প্রতি “ব্রেকিং নিউজ: চাকরির বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্র সময় নিউজ” এই শিরোনামে একটি ফেসবুক পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে সাধারণ পাঠকের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বাস্তবে চাকরির বয়স বাড়ানোর কোন সিদ্ধান্ত নেয় নি সরকার। ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান করে দেখেছে, বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন অথবা শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা শিক্ষা অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো ধরণের বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেনি। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিবেদন দেশের মূলধারার কোনো সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় নি। এমনকি এসব ফেসবুক পোস্টে এই খবরের সূত্র হিসেবে যে “সময় নিউজ”কে উল্লেখ করা হচ্ছে, তাদের ওয়েবসাইটেও এমন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় নি।
“চাকরির বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী” শীর্ষক সংবাদটি গত ২৫ জুন ২০২১ তারিখে, ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেজের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এমন কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
সাধারণ পাঠকের বিভ্রান্ত হবার নমুনা
“ব্রেকিং নিউজঃ চাকরির বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। সূত্রঃ সময় নিউজ” শিরোনামে খবরটি মূলত ফেসবুকের একাধিক শিক্ষা বিষয়ক গ্রুপ এবং পেজ থেকে প্রকাশ করা হয়। কোন প্রকার বিস্তারিত তথ্য ছাড়াই এ সকল ফেসবুক পোষ্টে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয় যে, চাকরিতে বিদ্যমান বয়সসীমা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অথচ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারের যথাযোগ্য মহল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অথবা শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে কোন প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেনি। মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ বিষয়ে কোনো সংবাদ বা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় নি। এমনকি শিরোনামে “সময় নিউজ”কে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হলে তাদের ওয়েবসাইটে বা ফেসবুক পেজে খবরটি খুঁজে পাওয়া যায় নি। অর্থাৎ উক্ত খবরের পক্ষে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যসূত্র নেই। তাই ফ্যাক্টওয়াচ চাকরির বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী এমন দাবিগুলোকে ‘মিথ্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
উল্লেখ্য, বিগত প্রায় ৬ বছর ধরে সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধি করার একটি দাবি উত্থাপিত হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে বিশেষ কোটা ব্যতীত সাধারণ বয়সসীমা ৩০ বছর। চলমান কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে অনেকগুলো নিয়োগ পরীক্ষা না হওয়ায় অনেকটা বিপাকে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা না হওয়ায় তাদের বয়সও বেড়ে যাচ্ছে। করোনার সময় এ দাবি আরো জোরালো হলে উক্ত গুজবটি খুব দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?