অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন জো বাইডেন – এমন বার্তাযুক্ত জাতীয় দৈনিক ‘কালবেলা’র একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে অনুসন্ধানে কালবেলা-র ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটে এমন কোনো ফটোকার্ড বা এমন কোনো প্রতিবেদন খুজে পাওয়া যায়নি। ফটোকার্ডের আঙ্গিকেও মূল কালবেলার নিয়মিত ফটোকার্ডের সাথে বেশ কিছু পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। এছাড়া, জো বাইডেন সংক্রান্ত এমন কোনো খবর অন্যান্য গণমাধ্যমেও পাওয়া যাচ্ছে না। সাধারণত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবার পর এ ধরনের প্রতিক্রিয়ার চল আছে। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচন এখনো চলমান। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এই পোস্টগুলোকে ‘মিথ্যা’ সাব্যস্ত করছে।
কালবেলা থেকে প্রকাশিত অন্যান্য ফটোকার্ড বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ছড়িয়ে পড়া জো-বাইডেন এর ফটোকার্ড এর সাথে এর বেশ কিছু বৈসাদৃশ্য রয়েছে। এগুলো হল-
১। কালবেলার ফটোকার্ডে উপরে ডান দিকে তারিখ দেয়া থাকে ( যেমন ৭ জানুয়ারি,২০২৪)। এমন কোনো তারিখ আলোচ্য কার্ডটিতে নেই।
২। কালবেলার মূল কার্ডে থাকা ছবির চারপাশে ফ্রেমটি কিছুটা রাউন্ড করে দেওয়া হয়। তবে আলোচ্য কার্ডে জো বাইডেন ও শেখ হাসিনার কোলাজ ছবির চারপাশে রাউন্ডিং না করে আয়তাকার আকৃতিতেই রেখে দেয়া হয়েছে।
৩। মূল ফটোকার্ডে শিরোনাম এর নিচে লেখা রয়েছে, ‘নিউজ লিংক কমেন্ট’ । তবে যেসকল পেজ বা গ্রুপে এই কার্ডটি আপলোড করা হয়েছে, সেসবের কোথাও কোনো প্রতিবেদনের লিংক দেখা যায়নি।
এছাড়া, কালবেলা’র ওয়েবসাইটেও অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেনজো বাইডেন শিরোনামযুক্ত কোনো খবর দেখা যাচ্ছে না । অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমেও এই জাতীয় কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায় নি । তাছাড়া নির্বাচন শেষ হবার আগেই তাকে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য ধন্যবাদ জানানো অযৌক্তিক।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। এই শুভেচ্ছা বার্তায় বাইডেন বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথাও উল্লেখ করেছিলেন।
তবে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ রাজনীতি বিষয়ে জো বাইডেন এর কোনো সাধারণ বক্তব্য গণমাধ্যমে পাওয়া যায়নি।
সার্বিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ এই পোস্টগুলোকে মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।