নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ?

102
নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ?
নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ?

Published on: [post_published]

সজীব ওয়াজেদ জয়,যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের হাইটেক এন্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করলেন – এমন একটি দাবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন নামের কোনো বিভাগের অস্তিত্ব নেই। এছাড়া আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকেও এই দাবিকে গুজব হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

গুজবের উৎস

ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে



ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৩০শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭ টা ৫ মিনিটের পর থেকে বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ারের মাধ্যমে এই গুজবটি ছড়িয়ে পড়ে।

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান

New York University এর ওয়েবসাইট থেকে দেখা যাচ্ছে, এখানে মোট ২১টা স্কুল,কলেজ অথবা ইন্সটিটিউশন এর মাধ্যমে শিক্ষাদান হয়ে থাকে। প্রতিটা স্বতন্ত্র স্কুল বা কলেজ বা ইন্সটিটিউশনে সংশ্লিষ্ট একাধিক ডিপার্টমেন্ট রয়েছে ।

এখানে, ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়সমূহের জন্য নির্ধারিত স্কুল হল Tandon School of Engineering

এই স্কুলের অধীনে ১২ টি ভিন্ন ডিপার্টমেন্ট থাকলেও ‘হাইটেক এন্ড টেকনোলজি’ নামে কোন ডিপার্টমেন্ট দেখা যাচ্ছে না।

অর্থাৎ এই ইউনিভার্সিটিতে ‘হাইটেক এন্ড টেকনোলজি’ নামক উক্ত বিভাগে কারো অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করা সম্ভব নয়।

বাংলাদেশের সরকারী বার্তা সংস্থা , বাসস এর এই নিবন্ধ থেকে জানা যাচ্ছে, সজীব ওয়াজেদ জয় নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন । পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এখন পর্যন্ত তাঁর পিএইচডি করার কোনো তথ্য জানা যায় নি।

বিদেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি ছাড়া শিক্ষকতার চাকরি হয় না, এবং শিক্ষকতার ধারাবাহিক অভিজ্ঞতা ছাড়া “অধ্যাপক” হওয়া অসম্ভব। জয়ের এমন অভিজ্ঞতা না থাকায় তাঁর পক্ষে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করা খুবই অবাস্তব। অবশ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনারারী, ভিজিটিং কিংবা প্রফেসর অব প্রাকটিস নাম দিয়ে সম্মানসূচক পদায়ন করে থাকে। আলোচ্য ভাইরাল পোস্টে জয়ের নিয়োগ বিষয়ে তেমন কোনো ইঙ্গিতও পাওয়া যায় নি।

তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকেও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে যোগদানের এই দাবিটি জানানো হয়নি।  বরং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়েছে, এই দাবিটি গুজব।

সার্বিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ এই পোস্টগুলোকে ‘মিথ্যা’ সাব্যস্ত করছে।

 

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.