সাবেক বিচারপতি মানিক মারা যাওয়ার দাবিটি ভিত্তিহীন

34
সাবেক বিচারপতি মানিক মারা যাওয়ার দাবিটি ভিত্তিহীন
সাবেক বিচারপতি মানিক মারা যাওয়ার দাবিটি ভিত্তিহীন

২৭ জানুয়ারি ফেসবুকে সাবেক বিচারপতি মানিকের কারাগারে মৃত্যুর খবর ফেসবুকে ভাইরাল হয়। কিছু পোস্টে তার ছবির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় এই ক্যাপশন- "১৯৭১ সালের রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি 'সামসুদ্দিন চৌধুরী  মানিক সাহেব'কে  অবৈধ ইউনূস সরকার পরিকল্পিত ভাবে কারাগারে নির্যাতন করে হত্যা করেছে!!" পোস্টগুলির সঙ্গে মানিকের তিনটি ছবিও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ছবিগুলোর একটি ২৩ আগস্ট তার গ্রেফতারের দিনের। অন্যটি আগের সাধারণ ছবি। কিন্তু একটি হাসপাতালের বিছানায় অসুস্থ অবস্থার। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায়, হাসপাতালের ছবিটি ২০২৪ সালে ২৫ আগস্ট সিলেটের একটি হাসপাতালের। তার মৃত্যু নিয়ে দেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মানিকের মৃত্যু নিয়ে কারা-কর্তৃপক্ষের মন্তব্য পাওয়া যায়। জানা যায়-  মৃত্যুর তথ্য সত্য নয়। তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সুস্থ আছেন।

এ ধরনের পোস্টগুলোর কয়েকটি এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। 

ফেসবুক পোস্টগুলোর সঙ্গে অবিচুয়ারি ঢঙে কিছু বাণী জুড়ে দিয়েছেন অনেকে। যেমন এই আইডির ক্যাপশনে বলা হয়েছে-  

শোকসংবাদ

১৯৭১ সালের রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতিসামসুদ্দিনচৌধুরী  মানিকসাহেবকে  অবৈধ ইউসুন গংরা কারাগারে নির্যাতন করে হত্যা করেছে!! ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন!!

মহান আল্লাহ মরহুম’কে জান্নাত বাসি করুন, উনার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি, আমিন।

মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রেখে বিচারপতি শামসুদ্দীন মানিককে কারাগারেই হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে বিচার করা হবে…..” 

সাদাকালো ছবি দিয়ে মৃত্যুর দোয়াসহ পোস্টারও শেয়ার করা হয়েছে। কেউ কেউ তার বেহেস্ত নসীবের দোয়াও করছেন। 

বিগত সরকারের পতনের পর বিচারপতি মানিক সিলেট সীমান্তে গ্রেফতার হন গত বছরের ২৩ আগস্ট। 

বর্তমানে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। ফেসবুকে তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে মূলধারার সংবাদ মাধ্যম জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রথম আলো ও ইত্তেফাকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি জেলখানাতে সুস্থ আছেন। 

হাসপাতালের বিছানায় শায়িত মানিকের ছবিটি ডেইলি সানের প্রতিবেদনে ব্যবহৃত হয়েছে। ছবিটি গত বছর আগস্ট মাসের, যখন তিনি সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

কাজেই জেল কর্তৃপক্ষের বরাতে মূলধারার সংবামাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী সাবেক বিচারপতি মানিক মারা যাননি। 

ফলে, ‘মারা গেছেন’ তথ্য-সম্বলিত ভিত্তিহীন পোস্টগুলিকে ‘মিথ্যা’ হিসেবে সাব্যস্ত করা হলো।    

Claim:
২৭ জানুয়ারি ফেসবুকে সাবেক বিচারপতি মানিকের কারাগারে মৃত্যুর খবর ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

Claimed By:
facebook users

Rating:
False

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে

এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে
ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh