আর্থিক সাহা্য্যের নামে প্রতারণা: ভারতের শিশুকে বাংলাদেশের ঝিনাইদহের শিশু বলে প্রচার

92
আর্থিক সাহা্য্যের নামে প্রতারণা: ভারতের শিশুকে বাংলাদেশের ঝিনাইদহের শিশু বলে প্রচার
আর্থিক সাহা্য্যের নামে প্রতারণা: ভারতের শিশুকে বাংলাদেশের ঝিনাইদহের শিশু বলে প্রচার

Published on: [post_published]

সম্প্রতি ফেসবুকে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানার আবায়পুর ইউনিয়নের জহরুল ইসলামের ছেলে মোঃ সবুজ নামের এক শিশুর জন্য আর্থিক সাহায্যের আবেদন করে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, শিশুটির আসল নাম নাঈম এবং তার বাবার নাম সুলাইমান। তারা ভারতের নাগরিক।

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।

ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টে  ব্যবহৃত ছবিগুলো গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, শিশুটির আসল নাম নাঈম এবং তার বাবার নাম সুলাইমান যিনি পেশায় একজন শ্রমিক। তারা ভারতের নাগরিক। নাঈমের মায়লোমোনোসাইটিক লিউকেমিয়া ধরা পড়েছে যা এক ধরনের ব্লাড ক্যান্সার।

নাঈমের চিকিৎসার জন্য সাহায্য চেয়ে ফেসবুক, ওয়েবসাইট এবং টুইটারে ছবি পোস্ট করেছে ভারতের Ketto নামের একটি তহবিল সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের টুইট এবং ওয়েবসাইটে নাঈম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে, এখানে এবং এখানে।



অথচ সম্প্রতি ভাইরাল ফেসবুক পোস্টগুলোতে ভারতের নাঈমকে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানার আবায়পুর ইউনিয়নের জহরুল ইসলামের ছেলে মোঃ সবুজ বলে পরিচয় দেয়া হচ্ছে।

ফেসবুক পোস্টটিতে বলা হচ্ছে,  টাকার অভাবে অটো চালক বাবা মায়ের সন্তানের চিকিৎসা করতে পারছে না ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানার আবায়পুর ইউনিয়নের জহরুল ইসলামের ছেলে মো সবুজ। শিশুটির বয়স মাত্র তিন বছর।। গত প্রায় চার মাস থেকে শিশুটির ক্যান্সার ধরা পরে।। এতদিন স্থানিয়ভাবে চিকিৎসা নিলেও ক্যান্সার ধরা পরায় এখন শিশুটির উন্নত চিকিসা প্রয়োজন।

তবে ডাক্তার বলেছেন শিশুটির উন্নত চিকিৎসা করানো হলে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। শিশুটির চিকিসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ২ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা।“

পোস্টের শুরুতেই বলা হচ্ছে,

1 Comment = 2 টাকা ।

1 Like = 1 টাকা ।

1 Share = 15 টাকা ।

1 Group Share = 25 টাকা ।“

সাহায্যের আবেদনকৃত ফেসবুক পোস্টটিতে উল্লেখিত বিকাশ নম্বরে যোগাযোগ করে ফ্যাক্টওয়াচ টিম। কল রিসিভকারী নিজেকে জহরুল ইসলাম (অসুস্থ শিশুর বাবা) বলে পরিচয় দেন এবং তার ছেলের লিভার ক্যান্সার হয়েছে বলে জানান। যখনই তাকে বলা হয় যে ফেসবুক পোস্টে ব্যবহৃত ছবিগুলো ভারতের একটি শিশুর তখনই তিনি কলটি কেটে দেন। এরপর কয়েকবার চেষ্টা করেও তার সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

উপরোক্ত তথ্যপ্রমাণ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট যে, উক্ত ফেসবুক পোস্টগুলোতে উল্লেখিত ছবির শিশুর আসল পরিচয় নাঈম যিনি ভারতের নাগরিক। আর্থিক সাহা্য্যের নামে প্রতারণার উদ্দেশ্য বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ এটিকে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে।

 

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

 

No Factcheck schema data available.