ভারতের বাস দুর্ঘটনার ছবিকে খাগড়াছড়ির বলে দাবি

76
ভারতের বাস দুর্ঘটনার ছবিকে খাগড়াছড়ির বলে দাবি
ভারতের বাস দুর্ঘটনার ছবিকে খাগড়াছড়ির বলে দাবি

পাহাড়ি এলাকায় বাস খাদে পড়ার চারটি ছবি শেয়ার দিয়ে থ্রেডসে ছড়ানো হচ্ছে যে এগুলো খাগড়াছড়িতে বাস দুর্ঘটনার ছবি। দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত এবং ৩৬ জন আহত হয়েছে বলেও ক্যাপশনে উল্লেখ করা হচ্ছে। ফ্যাক্ট ওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, ছবিগুলি খাগড়াছড়ির নয়, ভারতের উত্তরাখণ্ডের। ৪ নভেম্বর সকালে ঘটা উত্তরাখণ্ডের ওই দুর্ঘটনায় ৩৬ জন মারা গেছে। সঙ্গত কারণে খাদে-পড়া বাসের ছবিগুলি খাগড়াছড়ির- এই বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর সাব্যস্ত করা হল।

ভারতের এনডিটিভির নিউজের সঙ্গে দুর্ঘটনার ভিডিওতে   বাসটি এবং আশপাশের এলাকা দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, বাংলাদেশের থ্রেডস থেকে প্রচারিত ছবিগুলি উত্তরাখণ্ডের দুর্ঘটনার। ভিডিওটি থেকে চারটি স্ক্রিনশট নিয়ে এগুলোকে খাগড়াছড়ির বলে প্রচার করা হচ্ছে।

যুগান্তরের প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রায় ১ মাস বন্ধ থাকার পর খুলেছে খাগড়াছড়ির সকল পর্যটন কেন্দ্র। ৫ নভেম্বর থেকে আলুটিলা, রিছাং ঝরনা, মায়াবিনী লেক, জেলা পরিষদ পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ করতে পারবেন। এর আগে গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার জেরে ৮ অক্টোবর খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলার সকল পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণে  বিরত থাকার অনুরোধ জানায় প্রশাসন। ৫ এবং ৬ নভেম্বর খাগড়াছড়িতে কোন বাস দুর্ঘটনার খবর কোথাও প্রকাশিত হয় নি।

ভারতের উত্তরাখণ্ডের দুর্ঘটনার খবরে বিবিসি জানায়, দুর্ঘটনাটি সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে ঘটেছিল, যখন বাসটি রাজ্যের রামনগর জেলায় যাচ্ছিল। ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের আলমোড়া জেলায় মারচুলায় বাসটি গভীর গিরিখাতের মধ্যে পড়ে ৩৬ জনের মৃত্যু এবং ২৭ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বাসে ৪৪ জন যাত্রী ছিল এবং চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৫০ মিটার গভীর গিরিখাতের মধ্যে পড়ে যায়। সিএনএন নিউজেও বাস দুর্ঘটনায় ৩৬ জন নিহতের এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।

যথার্থ কারণে, বাস দুর্ঘটনার ছবি খাগড়াছড়ির- এই প্রচারণাকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।   

ভারতের দুর্ঘটনার ছবিকে খাগড়াছড়ির দুর্ঘটনা বলে প্রচার করা থ্রেডস এর পোস্টগুলি এখানে এবং এখানে

No Factcheck schema data available.

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে

এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে
ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh