গাজায় হত্যা: যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রীর ওপর ফিলিস্তিনি সাংবাদিকের ঝাঁপিয়ে পড়ার ভিডিওটি ভিন্ন ঘটনার

150
গাজায় হত্যা: যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রীর ওপর ফিলিস্তিনি সাংবাদিকের ঝাঁপিয়ে পড়ার ভিডিওটি ভিন্ন ঘটনার
গাজায় হত্যা: যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রীর ওপর ফিলিস্তিনি সাংবাদিকের ঝাঁপিয়ে পড়ার ভিডিওটি ভিন্ন ঘটনার

ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের চলমান সংঘাতকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে ২৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের একজন মন্ত্রী ফিলিস্তিনি নাগরিকদের হত্যায় সম্মতি দেওয়ায় এক ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ওই মন্ত্রীর ওপর লাফিয়ে পড়ে তাকে আক্রান্ত করেছেন। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের চলমান সংঘাতের কোনো সম্পর্ক নেই। ভিডিওটি ২০২৪ সালের জানুয়ারির। মূল ঘটনাটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা অঙ্গরাজ্যের একটি আদালত কক্ষের। সেখানে একটি মামলার শুনানির সময় ডিওব্রা রেডেন নামে এক আসামী বিচারকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। 

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। 

ভাইরাল ভিডিওটি রিভার্স ইমেজ সার্চে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। ২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি সংবাদমাধ্যমটিতে ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। 

ভিডিওটির সঙ্গে যুক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নেভাডার লাস ভেগাসের একটি আদালতে বিচারক মেরি কে হোলথাসের ওপর হামলা চালান ডিওব্রা রেডেন নামে এক আসামী। বিচারক মেরি কে হোলথাস রেডেনের অপরাধের দীর্ঘ ইতিহাস বিবেচনায় আসামীর শাস্তি মওকুফের আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন। এ ঘটনার পরেই রেডেন বিচারক মেরি কে হোলথাসের ওপর হামলা চালান। 

যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি সংবাদমাধ্যম ফক্সের ইউটিউব চ্যানেল লাইভ নাউ ফ্রম ফক্সেও ভাইরাল ভিডিওটি পাওয়া যায়। ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি চ্যানেলটিতে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটির ক্যাপশন থেকেও ভিডিওটি নিয়ে একই বর্ণনা পাওয়া যায়।

বার্তা সংস্থা এপিতে এই ঘটনা নিয়ে ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ক্লার্ক কাউন্টি ডিসট্রিক্ট আদালতের বিচারক মেরি কে হোলথাস ওই বছরের ৩ জানুয়ারি একটি হত্যার চেষ্টা সংক্রান্ত মামলায় ডিওব্রা রেডেনের শাস্তি ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন রেডেন বেঞ্চ টপকে তাঁর দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

এসব প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এটি নিশ্চিত হওয়া যায়, ভাইরাল ভিডিওটিতে আক্রমণের শিকার ও আক্রমণকারী ব্যক্তিকে নিয়ে সম্প্রতি ফেসবুকে প্রচারিত দাবিটি সঠিক নয়। ভিডিওতে আক্রমণের শিকার ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মন্ত্রী নন এবং আক্রান্ত ব্যক্তিও ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নন। 

সার্বিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ ভিডিওটি নিয়ে প্রচারিত দাবিটিকে মিথ্যা হিসেবে সাব্যস্ত করছে।

 

Claim:
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের চলমান সংঘাতকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে ২৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের একজন মন্ত্রী ফিলিস্তিনি নাগরিকদের হত্যায় সম্মতি দেওয়ায় এক ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ওই মন্ত্রীর ওপর লাফিয়ে পড়ে তাকে আক্রান্ত করেছেন।

Claimed By:
Facebook users

Rating:
False

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে

এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে
ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh