৩০ জুলাই ২০২১ তারিখে “৫ আগস্টের পর আরো ১০ দিন বাড়ছে কঠোর লকডাউন” শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে যা জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। বাস্তবে এখনও সরকার থেকে এমন কোনো বিবৃতি আসেনি। তবে ৫ আগস্টের পরেও চলমান লকডাউন আরও ১০ দিন বহালের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তাদের সুপারিশ সরকারের মাথায় আছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। ভাইরাল সংবাদটির বিস্তারিত অংশে এসব লেখা থাকলেও চটকদার শিরোনামটি ভুল বার্তা হাজির করে।
উক্ত ভূয়া শিরোনামযুক্ত খবরটি ইতিমধ্যে ফেসবুকে বিভিন্ন পেইজ থেকে শেয়ার হয়েছে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে,এখানে,এখানে,এখানে এবং এখানে।
“৫ আগস্টের পর আরো ১০ দিন বাড়ছে কঠোর লকডাউন” শিরোনামযুক্ত খবরটির বিস্তারিত অংশ ধরে অনুসন্ধান করে ফ্যাক্টওয়াচ দেখেছে, উক্ত খবরটি গত ৩০ জুলাই ২০২১ তারিখে দৈনিক কালের কণ্ঠ থেকে প্রকাশিত “৫ আগস্টের পর আরো ১০ দিন কঠোর বিধিনিষেধের সুপারিশ” শিরোনামে একটি খবর থেকে হুবহু কপি করা হয়েছে। উক্ত সংবাদে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে, “লকডাউন এখনই শিথিল বা উঠিয়ে নেয়ার পক্ষে নয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ আগস্টের পরও কঠোর লকডাউন বহালের সুপারিশ করা হয়েছে। দেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চলমান লকডাউন আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি”।
অর্থাৎ, ৫ আগস্ট ২০২১ তারিখের পর পর আরো ১০ দিন কঠোর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর “সুপারিশ” করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। চলমান লকডাউন শেষ হবার আগেও প্রতিদিন কোভিড সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যাও আগের যে কোনো সময়ের থেকে আশংকাজনকভাবে বেশি। এমন প্রেক্ষাপটে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লকডাউন বাড়ানো হবে কিনা সে বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কথা বলবে। আমরা বলেছি লকডাউন কন্টিনিউ করতে।“
এদিকে ৩১ জুলাই ২০২১ (শনিবার) দুপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেছেন, “সেটি (সুপারিশ) অবশ্যই আমাদের মাথায় আছে। কারণ সবকিছুর সমন্বয় আমাদের করতে হবে। সেজন্য আমরা বলছি যে, একটু সময় নেব। ৩ বা ৪ তারিখে এ বিষয়টি পরিষ্কার করে দেব”।
অর্থাৎ, “৫ আগস্টের পর চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়বে” এমন কোনো সিদ্ধান্ত এখনও সরকার থেকে আসেনি। “৫ আগস্টের পর আরো ১০ দিন বাড়ছে কঠোর লকডাউন” শিরোনামযুক্ত সংবাদগুলোতেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশটির কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু শিরোনাম থেকে “সুপারিশ” শব্দটা বাদ দেয়ায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?