১৪ জুলাই ২০২১ তারিখে “লকডাউনের মেয়াদ আরো ৪ দিন বাড়ানোর দাবি” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে একাধিক ওয়েব পোর্টাল থেকে। বাস্তবে লকডাউন নয়, চলমান লকডাউন শিথিলের মেয়াদ আরো ৪ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ১৪ জুলাই (বুধবার) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
উক্ত ভূয়া শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি ফেসবুকে বিভিন্ন পেইজ থেকে শেয়ার হয়েছে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে,এখানে,এখানে,এখানে এবং এখানে।
“লকডাউনের মেয়াদ আরো ৪ দিন বাড়ানোর দাবি” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটির বিস্তারিত অংশে কোথাও উল্লেখ নেই যে লকডাউনের মেয়াদ আরো ৪ দিন বাড়ানোর দাবি উঠেছে। বরং উক্ত সংবাদগুলোতে চলমান বিধিনিষেধ শিথিলের মেয়াদ আরো ৪ দিন বাড়ানোর যে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি, সেটি উল্লেখ আছে।
উল্লেখ্য যে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ১ জুলাই ২০২১ (বৃহষ্পতিবার)ভোর ৬টা থেকে সারা দেশে সাত দিনের জন্য কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছিল যা পরবর্তীতে বর্ধিত হয়েছিল ১৪ দিনে। তবে অর্থনৈতিক সব কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বাংলাদেশের সরকার ১৩ জুলাই ২০২১ (মঙ্গলবার) এক প্রজ্ঞাপন জারি করে জানিয়েছে, ঈদুল আযহা উদযাপনের জন্য চলমান বিধি-নিষেধ শিথিল করা হয়েছে। এই বিধি-নিষেধ শিথিল ১৪ই জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩শে জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এরপর ২৩শে জুলাই ভোর ৬টা থেকে ৫ই অগাস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এদিকে ঈদ শেষে নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফেরা, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ, ফেরার পথে মানুষের গাদাগাদি রোধ, পথে পথে যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য কমাতে উক্ত বিধিনিষেধ শিথিলের মেয়াদ আরো ৪ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ১৪ জুলাই (বুধবার) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “আমাদের দেশে রাস্তা ও গণপরিবহন সংকটের কারণে ঈদুল আজহার পরের দিন ২২ জুলাই মাত্র একদিনে গ্রামের বাড়ি থেকে রাজধানীতে বা কর্মস্থলে পৌঁছানো সম্ভব নয়। অন্যথায় ২২ জুলাই কর্মস্থলে ফেরার জন্য একদিনে সবাই রাস্তায় নামলে যানজট, জনজট, গণপরিবহন, ফেরিঘাট, টার্মিনালে মানুষের গাদাগাদিতে ভয়াবহ ভোগান্তির পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাবে। এতে করে গত ১৪ দিনে ব্যাপক ক্ষতির শিকার করে কঠোর লকডাউনের অর্জিত ফলাফল শূন্যের কোটায় পৌঁছাবে।“ তাই বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মূল ঘটনা যেখানে লকডাউন শিথিলের দাবি, শিরোনাম বলছে লকডাউন বাড়ানোর দাবি! অর্থাৎ শিরোনামটি একেবারে উল্টা বার্তা দিচ্ছে। এ কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এই শিরোনামটিকে মিথ্যা মনে করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?