ডাকাত দলের আহত নারী সদস্যকে ‘হিন্দু নারী নির্যাতন’ বলে অভিযোগ   

79
ডাকাত দলের আহত নারী সদস্যকে ‘হিন্দু নারী নির্যাতন’ বলে অভিযোগ   
ডাকাত দলের আহত নারী সদস্যকে ‘হিন্দু নারী নির্যাতন’ বলে অভিযোগ   

হিন্দুত্ববাদী আন্দোলন বাংলাদেশ নামের একটি আইডি থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে অভিযোগ করা হয়েছে যে, হিন্দু হওয়াটাই এই নারীর বড় অপরাধ। ভিডিওটিতে দেখা যায় নারীটি পানি থেকে উঠে আসছেন, আহত ও ভীত। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায়, নারীটির নাম লাভলী আক্তার। গত ২৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে এলাকাবাসী, ডাকাত সন্দেহে কয়েকজনকে ধাওয়া দেয়। আটক মো. বিল্লাল ওরফে বিল্লাল ডাকাত গণপিটুনিতে নিহত হন । লাভলী আক্তারকেও ডাকাত সন্দেহে মারপিট করা হয়। এই ভিডিওই হিন্দু নারী নির্যাতনের নাম ফেসবুকে শেয়ার করা হয়।  ফলে যথার্থ কারণে, এটি 'হিন্দু নারী নির্যাতন'- এই তথ্যকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হল।

পোষ্টটি শেয়ার হয় এই আইডি থেকে। এখান থেকেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। 

Screenshot from Somoy Tv

সময় নিউজ ওই নারীর ছবিসহ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে,  বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই বিল্লালের মৃত্যু হয়। এ সময় তার সহযোগী লাভলী আত্মরক্ষার জন্য একটি খালে ঝাঁপ দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার ও আহত লাভলীকে উদ্ধার করে।

Screenshot from The Daily Star Bangla

ডেইলি স্টার বাংলার প্রতিবেদনে এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে আড়াইহাজার থানার ওসির বরাতে বলা হয়, ওই নারীও ডাকাতদলের সদস্য। এ ডাকাত দলটি সড়কে চলাচলরত যানবাহনে ডাকাতি করে। এ সময় যানবাহন থামাতে নারী সদস্যরা সহযোগিতা করে থাকেন। 

মানবকণ্ঠের প্রতিবেদনে নারীর পরিচয় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে,  নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ডাকাত সন্দেহে  বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের কাহিন্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পিটুনির শিকার হন লাভলী আক্তার (২৫) নামে একজন নারী । পরে পুলিশ তাকে আটক করে। আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গণপিটুনিতে নিহত বিল্লাল হোসেন এবং  আহত  লাভলী আক্তার হাইজাদী ইউনিয়নের নারান্দি গ্রামের বাসিন্দা।  

প্রথম আলোর প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে যে, ওই নারী ডাকাতদলের একজন। 

কাজেই, হিন্দু নারী বলে লাভলী আক্তারকে মারধোর করা হয়েছে, এই অভিযোগটিকে মিথ্যা হিসেবে সাব্যস্ত করা হল। 

Claim:
হিন্দুত্ববাদী আন্দোলন বাংলাদেশ নামের একটি আইডি থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে অভিযোগ করা হয়েছে যে, হিন্দু হওয়াটাই এই নারীর বড় অপরাধ। ভিডিওটিতে দেখা যায় নারীটি পানি থেকে উঠে আসছেন, আহত ও ভীত।

Claimed By:
Facebook users

Rating:
False

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে

এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে
ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh