২৩ জুন ২০২১ তারিখে ফেসবুকের বিভিন্ন একাউন্ট, পেজ এবং গ্রুপে “মুক্তি পেয়েছেন রফিকুল ইসলাম মাদানী” শীর্ষক একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়ে যা মিথ্যা। বাস্তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৮ ও ৩১ ধারায় অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম মাদানী বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গত ২৮ মে (শুক্রবার) র্যাবের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এই ‘শিশু বক্তা’ গাজীপুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া “মুক্তি পেয়েছেন রফিকুল ইসলাম মাদানী” শীর্ষক তথ্যটিতে কোনো প্রমাণ দেননি পোস্টকারীরা। কোনো সংবাদমাধ্যমও এবিষয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৮ মে (শুক্রবার) রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ নাজমুন নাহারের আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, মাদানীকে গত ৭ এপ্রিল নেত্রকোনায় তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। আটককালে তাঁর কাছ থেকে চারটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়। এসব মুঠোফোনে বেশ কিছু বিদেশি পর্নো ভিডিও পাওয়া যায়। পরদিন তাঁকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। র্যাব-১ মামলাটির তদন্ত করে।
উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে “মুক্তি পেয়েছেন রফিকুল ইসলাম মাদানী” দাবিটি ফ্যাক্টওয়াচের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মিথ্যা যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?