ঈদ উপলক্ষে মামুনুল হক জেল থেকে মুক্তি পেলেন– এমন একটি খবর অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে । তবে অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে খেলাফতে মজলিশ এর মহাসচিব মুহাম্মাদ মামুনুল হক এর জেলমুক্তির কোনো খবর গণমাধ্যমে পাওয়া নেই । শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি কারাভ্যন্তরেই ছিলেন। এমনকি তার দল ,খেলাফতে মজলিশ ,ঈদের একদিন আগে দলের মহাসচিব মামুনুল হকের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে । অর্থাৎ, সাম্প্রতিক সময়ে তার মুক্তির কোনো সংবাদ নেই। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এই পোস্টগুলোকে ‘মিথ্যা’ সাব্যস্ত করছে।
খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক হেফাজত নেতা মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন এর বরাত দিয়ে ডয়েচে ভেলের ২৯শে এপ্রিলের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ৪০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত ১২ টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছিলেন।
পরবর্তীতে ৩রা মে ২০২৩ তারিখে তিনি আরো ৫ টি মামলায় জামিন পান। অর্থাৎ, এই হিসাব ঠিক হয়ে থাকলে, বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা কার্যকর রয়েছে। এই মামলাগুলোর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তার ‘জেল থেকে মুক্তি’ সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিশ এর প্রতিনিধিত্বকারী ‘মজলিশ মিডিয়া’ নামক ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল খেলাফত মজলিশ এর একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এই বিবৃতির এক অংশে জানানো হয়, দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক সহ আলেম উলামা কারাগারে বন্দী রয়েছেন । মামুনুল হকের অনুপস্থিতিতে সংগঠনের নেতা কর্মী ও তার পরিবারের ঈদ উদযাপন খুবই কষ্টকর ও বেদনাদায়ক। তাই মামুনুল হক সহ কারাবন্দী আলেমদের দ্রুত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
অর্থাৎ, এটা নিশ্চিত যে খেলাফত মজলিশ এর এই বিবৃতি প্রকাশের সময় পর্যন্ত মামুনুল হক কারাবন্দী ছিলেন।
ঈদের দিনে, অর্থাৎ ২৯শে জুন তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার কোনো খবর কোনো মূলধারার সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে না।
তাই ফ্যাক্টওয়াচ এ সকল ফেসবুক পোস্টকে ‘মিথ্যা’ সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।