সম্প্রতি সেজদা থাকা অবস্থায় মসজিদে নববীতে এক লোকের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনুসন্ধানে এই লোকের বিস্তারিত পরিচয় জানা না গেলেও এটি জানা যায় যে, লোকটি তখন মারা যাননি। জুম্মার নামাজের সময় অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবংতিনি জীবিত এবং ভালো আছেন বলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা যায়।
ছবির ক্যাপশনে এসব পোস্টে বলা হচ্ছে, “মানুষটা কত ভাগ্যবান, সেজদা থাকা অবস্থায় মৃত্যু তাও মসজিদে নববীতে”।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান
ভাইরাল ছবির সাহায্যে রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে, লাইফ ইন সৌদিআরবসহ বেশ কয়েকটি ওয়েবপোর্টালে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। “Who died in Sujood in Masjid al Nabawi on Friday?” শিরোনামে এই অনুচ্ছেদে Gulf News এর বরাতে জানানো হয় ছবিতে থাকা লোকটি জীবিত আছেন।
পুনরায় অনুসন্ধানে Gulf News এর মূল প্রতিবেদনটি খুঁজে পাওয়া যায়। “Worshipper thought dead in sojoud position was unconscious” শিরোনামে ১৯ মার্চ, ২০২২ প্রকাশিত হয় এই প্রতিবেদনটি। সেখানে একজন চিকিৎসকের বরাতে জানানো হয়, উক্ত লোকটি অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষও লোকটির অজ্ঞান হওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করে। তবে এর বাইরে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি৷
“Ummid.com”প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে উক্ত মসজিদের অফিসিয়াল টুইটার একাউন্টের একটি টুইট পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয় যে, উক্ত লোকটি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলো এবং এখন সে ভালো আছে।
The news we have got || “My brothers who called an ambulance in the Prophet’s Mosque for the man said it was a case of fainting and that the brother is in good condition, apologies for the mistake” pic.twitter.com/aVQWPxOmCr
মূলত এই টুইটার একাউন্টেই এর আগে উক্ত লোকের মৃত্যু সংক্রান্ত একটি দাবি প্রকাশিত হয় বলে উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়। এর প্রেক্ষিতেই পরবর্তীতে ক্ষমা চেয়ে পোস্টটি মুছে দেওয়া হয় এবং সঠিক তথ্যটি প্রকাশ করা হয়।
অর্থাৎ, বিষয়টি পরিষ্কার যে ভাইরাল ছবিতে থাকা ব্যক্তিটি মারা যাননি। নামাজ পরা অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। লোকটি ভালো আছে বলে মসজিদের অফিসিয়াল টুইটার একাউন্ট থেকেও জানানো হয়। তাই ফ্যাক্টওয়াচ তার মৃত্যুর দাবিটিকে “মিথ্যা” চিহ্নিত করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?