সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে এই অভিনেত্রীর চোখের পাশে আঘাতের চিহ্ন ও মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা রয়েছে। সেই ছবি পোস্ট করে অনেকে ক্যাপশনে লিখেছেন, মৌলবাদীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। যদিও অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, যেই ছবিতে মেহজাবীন চৌধুরীকে আহত দেখা যাচ্ছে তা মূলত “চিরকাল আজ” নামের একটি নাটক থেকে নেওয়া হয়েছে। ২ অক্টোবর আরও একাধিক ছবির সাথে আলোচ্য ছবিটি পোস্ট করেছেন এই অভিনেত্রী নিজে। ক্যাপশনে লিখেছেন, “Old memories.. guess the contents” । তাই এই অভিনেত্রীর ছবি পোস্ট করে যে ধরণের দাবি করা হয়েছে তাকে ফ্যাক্টওয়াচ “বিভ্রান্তিকর” সাব্যস্ত করছে।
অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ফেসবুকে “স্বাধীন” লিখে পোস্ট করেছিলেন। বলাই বাহুল্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি ফেসবুকে একাধিক পেজ ও ব্যক্তিগত একাউন্ট থেকে মেহজাবিন চৌধুরীর একটি ছবি ও এই অভিনেত্রীর করা একটি ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট একসাথে পোস্ট করা হয়েছে। ছবি দুটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “অভিনেত্রী মেহজাবীন জামাতি মৌলবাদীদের দ্বারা আক্রান্ত বা কেমন লাগছে স্বাধীন দেশে?” উল্লেখ্য, মেহজাবীন চৌধুরিকে যেই ছবিতে আহত দেখাচ্ছে বা মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা রয়েছে এবং ৫ আগস্ট তার “স্বাধীন” লেখা পোস্টটিই পাশাপাশি রেখে পোস্ট করা হয়েছে। এবং দাবি করা হয়েছে ৫ আগস্ট পরিবর্তী সময়ে মৌলবাদীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। যদিও প্রমাণ মিলেছে, শুটিং সেটে নাটকের অভিনয়ের অংশ হিসেবে মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধেছিলেন এই অভিনেত্রী। নিজেকে সম্পূর্ণ আহত দেখাতে মুখের উপরের সেভাবেই মেকআপ করিয়েছিলেন তিনি।
আক্রান্ত হয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী — এ জাতীয় দাবিতে যখন তার ছবি ফেসবুক ভাইরাল হয়েছে বিষয়টির বিপরীতে তিনি তাঁর ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “ইন্টারনেটে আমার একটি ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেখানে আমাকে আহত দেখা যাচ্ছে। এই ছবিটি আমার ২০২১ সালের নাটক “চিরকাল আজ” থেকে নেওয়া হয়েছে। অনুগ্রহ করে ইন্টারনেটে যা কিছু ঘোরে, সবকিছু বিশ্বাস করবেন না”।
সুতরাং অভিনেত্রী মেহজাবীনের আক্রান্ত হবার দাবির পক্ষে অভিনয়ের একটি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্তিও ছড়িয়ে পড়েছে।
সঙ্গত কারণে এমন দাবিকে “বিভ্রান্তিকর” সাব্যস্ত করেছে ফ্যাক্টওয়াচ।
No Factcheck schema data available.
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের
নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে।
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।
কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh