মেসবাহ কামালের বক্তব্যটি পুরোনো, তিনি দুঃখও প্রকাশ করেছিলেন এজন্য

12
মেসবাহ কামালের বক্তব্যটি পুরোনো, তিনি দুঃখও প্রকাশ করেছিলেন এজন্য
মেসবাহ কামালের বক্তব্যটি পুরোনো, তিনি দুঃখও প্রকাশ করেছিলেন এজন্য

Published on: [post_published]

৪ নভেম্বর ২০২১ তারিখে “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন উচ্চতর মাদ্রাসা: ড. মেহবাহ [মেসবাহ] কামাল” শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করেছে কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বক্তব্যটি মূলত ৩ বছরের পুরনো। ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ (শনিবার) প্রেস ক্লাবে “পলিটিকাল ইকোনমি অব মাদ্রাসা এডুকেশন ইন বাংলাদেশ”  শিরোনামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের সময় তিনি এই কথা বলেছিলেন যার কিছুদিন পর তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বক্তব্যটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন।  

সম্প্রতি ড. মেসবাহ কামালের পুরনো বক্তব্যটিকে ঘিরে কিছু খবর দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।


ভাইরাল হওয়া খবরটির দ্বিতীয় প্যারায় উল্লেখ রয়েছে, “গতকাল বুধবার প্রেস ক্লাবে পলিটিক্যাল ইকোনমি অব মাদ্রাসা এডুকেশন ইন বাংলাদেশ শিরোনামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের সময় এসব কথা বলেন ড. মেসবাহ কামাল।“ ঢাবি অধ্যাপক মেসবাহ কামালের উক্তিটি ধরে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, এই বক্তব্য দেয়ার তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ (শনিবার)। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া খবরে উল্লেখিত “পলিটিকাল ইকোনমি অব মাদ্রাসা এডুকেশন ইন বাংলাদেশ”  শিরোনামে বইটির মোড়ক উন্মোচন হয়েছিল সেদিন।

সেসময় তিনি বলেন, “তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজকে যে ভর্তি হয় সে ভর্তির মধ্যে খোঁজ করে দেখুন মানে সেখানে যারা স্কুল থেকে পড়ে আসে তারা কত ভাগ ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন একটা উচ্চতর মাদ্রাসায় পরিণত হয়েছে। আমি জেনে বুঝে ৩৪ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছি তার আগে ৬ বছর পড়েছি, ৪০ বছর আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ত। আমি বলছি, চোখের ওপরে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা উচ্চতর মাদ্রাসায় হায়ার মাদ্রাসায় পরিণত হতে দেখছি। এবং এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। “

এ বিষয়ে campustimes.press থেকে প্রকাশিত এ বিষয়ক একটি খবর দেখুন এখানে।

এ বিষয়ে আরও অনুসন্ধান করে ৩১ জানুয়ারি, ২০১৮ তারিখে দৈনিক ইনকিলাবের একটি সংবাদেও ড. মেসবাহ কামালের মন্তব্যটি পাওয়া গেছে।

এদিকে মন্তব্যটি ছড়িয়ে পড়ার পর তোপের মুখে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মেসবাহ কামাল। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে নিজের ফেসবুক একাউন্টের মাধ্যমে নিজের বক্তব্যটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ফেসবুক পোস্টটি পড়ুন এখানে।

উপরোক্ত তথ্যপ্রমাণ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট যে, ড. মেসবাহ কামালের বক্তব্যটি সাম্প্রতিক নয়, ৩ বছরের পুরনো যার জন্য পরবর্তীতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। পুরনো বক্তব্যটি তারিখ উল্লেখ না করে পুনরায় প্রচার করার কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এটিকে “বিভ্রান্তিকর” সাব্যস্ত করেছে।

 

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

 

No Factcheck schema data available.