ঢাকার মিরপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাটি আড়াই বছর আগের

24
ঢাকার মিরপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাটি আড়াই বছর আগের
ঢাকার মিরপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাটি আড়াই বছর আগের

Published on: [post_published]

সম্প্রতি “মিঠুন চক্রবর্তী নামে পরিচয় দিয়ে মন্দিরে প্রার্থনা করবে বলে প্রবেশের অনুমতি নিয়ে মূল মন্দিরের ভিতরে ঢুকে প্রতিমা টেনে হিঁচড়ে মাটিতে ফেলে ভাঙচুর চালালো রাশেদুল হাসান নামে এক দুর্বৃত্ত!!” ক্যাপশনে ১ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রতিবেদন ফেসবুকে শেয়ার হয়েছে। মূলত খবরটি প্রায় আড়াই বছর আগের। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে একাত্তর টিভিতে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনকে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে নতুন করে প্রচার করায় ফ্যাক্টওয়াচ এটিকে “বিভ্রান্তিকর” সাব্যস্ত করেছে।

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।


মূল ঘটনাটি হচ্ছে, রাজধানী ঢাকার মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করার অভিযোগে এক যুবককে আটক করা হয়েছিল বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে। সকাল সোয়া ৭ টায় মন্দিরে প্রার্থনা করতে গিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করার অভিযোগে তাকে আটক করে পুলিশে সোর্পাদ করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তার নাম রাশিদুল হাসান।

এ বিষয়ে মন্দিরের পুরোহিতের সহকারী অতীন্দ্র সরকার বলেন, “আজ সকাল সোয়া ৭টার দিকে এক যুবক মন্দিরে আসেন। এ সময় তিনি নিজেকে মিথুন চক্রবর্তী বলে পরিচয় দেয়। পরে সে কালী মন্দিরে পূজার জন্য ঢোকে। এসময়  আমি ওখান থেকে বেরিয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ শব্দ শুনে গিয়ে দেখি একটি প্রতিমার বিভিন্ন অংশ ভেঙে নিচে পড়ে আছে। এ সময় আমরা কয়েকজন তাকে আটকে রাখি।“

ভিডিও প্রতিবেদনটির সিসিটিভি ফুটেজেও ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখটি দেখা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে দুটি প্রতিবেদন পড়ুন এখানে এবং এখানে।


উপরোক্ত তথ্যপ্রমাণ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট যে, মিরপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় যুবক আটকের খবরটি প্রায় আড়াই বছরের পুরনো। পুরনো খবরটি তারিখ উল্লেখ না করে পুনরায় প্রচার করায় ফ্যাক্টওয়াচ এটিকে “বিভ্রান্তিকর” সাব্যস্ত করেছে।

 

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

 

No Factcheck schema data available.