সুদানের অভুক্ত সিংহের ছবিকে মিরপুর চিড়িয়াখানার বলে প্রচার

22
সুদানের অভুক্ত সিংহের ছবিকে মিরপুর চিড়িয়াখানার বলে প্রচার সুদানের অভুক্ত সিংহের ছবিকে মিরপুর চিড়িয়াখানার বলে প্রচার

Published on: [post_published]

খাবারের অভাবে মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার কয়েকটি সিংহের করুণ দশার ছবি ফেসবুকে পাওয়া যাচ্ছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, এই ছবিগুলো সুদানের একটি পার্কের অভুক্ত কয়েকটি সিংহের ছবি, যেটি সুদানের একজন প্রাণী অধিকারকর্মী সর্বপ্রথম আর ফেসবুক একাউন্ট থেকে পোস্ট করেছিলেন। তাই ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় এটি মিথ্যা। ২০২০ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকে এই মিথ্যা দাবিটি ভাইরাল হয়ে আসছে।

গুজবের উৎস

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই পোস্ট ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালে আবারো পোস্টটি ফেসবুকে ছড়ায়। এরকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

 

ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মিরপুর চিড়িয়াখানার পশু বলে যে রুগ্ন স্বাস্থ্যের সিংহগুলোর ছবি প্রচারিত হয়েছে, সেগুলো আসলে সুদানের একটি চিড়িয়াখানার অনাহারে থাকা সিংহের ছবি। ২০২০ সালের ১৮ জানুয়ারি  Sudan Animal Rescue-সংস্থার সাথে জড়িত ওসমান সালিহ নামক একজন প্রাণী অধিকারকর্মী সর্বপ্রথম সিংহগুলোর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। তিনি জানান, সুদানের রাজধানী খার্তুমের আল-কুরেশি পার্কে তিনি ৫টি অনাহারপিড়িত রুগ্নকায় সিংহ দেখতে পান। এ ব্যাপারে পার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায়, একমাস ধরে পার্কটির আয় একটি সিংহকে এক সপ্তাহ খাওয়ানোর মতোও পর্যাপ্ত হচ্ছে না।

 

ওসমান সালিহের এই পোস্টটি অনলাইন দুনিয়ায় তোলপাড়ের সৃষ্টি করে। আফ্রিকা নিউজ, দি ওয়াশিংটন পোস্ট, ইনসাইডার, যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল, মধ্যপ্রাচ্যের গালফ টুডের মতো পত্রিকাগুলো এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করলে সিংহগুলোকে বাঁচানোর জন্য অনলাইন ক্যাম্পেইন শুরু হয়।

 

আরো কিছু পত্রিকার রিপোর্ট থেকে সিংহগুলোর ছবি দেখুন –

 

সিংহগুলোকে বাঁচানোর জন্য অনলাইন ক্যাম্পেইনের ইউটিউব ভিডিও থেকে নেওয়া এই স্থিরচিত্রগুলো দেখুন –

 

দেখা যাচ্ছে, এই ছবিগুলোকেই মিরপুর চিড়িয়াখানার সিংহের ছবি বলে দাবি করা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেকিং সাইট AFP Fact Check ইতোমধ্যে তাদের একটি রিপোর্টে প্রমাণ করেছে যে সুদানের অভুক্ত কিছু সিংহের পুরনো ছবিকে মিরপুর চিড়িয়াখানার সিংহের ছবি বলে দাবি করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

 

সুতরাং উপযুক্ত প্রমাণসাপেক্ষে ফ্যাক্টওয়াচ এই পোষ্টকে ‘মিথ্যা’ বলে সাব্যস্ত করছে।

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.