যাদাবিকরাহচ্ছে: যমুনা টিভির লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ডে দাবি করা হচ্ছে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত থাইল্যান্ডে পালাতে গিয়ে আটক হয়েছেন।
যাপাওয়াযাচ্ছে: যমুনা টেলিভিশনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়েছে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ফটোকার্ডটি তাদের নয়। তাছাড়া সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের বর্তমান অবস্থান নিয়ে কোন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ফ্যাক্টওয়াচ উক্ত ফটোকার্ডটিকে “বিভ্রান্তিকর” হিসেবে চিহ্নিত করছে।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে “থাইল্যান্ডে পালাতে গিয়ে আটক আরাফাত” এমন শিরোনামের কোন ফটোকার্ড যমুনা টেলিভিশনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পাওয়া যায় নি। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ফটোকার্ডগুলো গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সেখানে কোন তারিখের উল্লেখ নেই। কিন্তু যমুনা টেলিভিশনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলোতে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ফটোকার্ডগুলোর ডানপাশে তারিখের উল্লেখ থাকে। এমনই একটি নমুনা ফটোকার্ড দেখুন এখানে।
৮ই আগস্ট, ২০২৪ তারিখে যমুনা টেলিভিশনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ফটোকার্ড পোস্টের মাধ্যমে জানায় “থাইল্যান্ডে পালাতে গিয়ে আটক আরাফাত” শিরোনামে প্রকাশিত ফটোকার্ডটি যমুনা টেলিভিশনের নয়।
তাছাড়া সদ্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছেন সে সম্পর্কে গণমাধ্যমে কোন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। মোহাম্মদ এ আরাফাত এর ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্ট থেকে ৫ই আগস্ট এর পরে আর কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পথ ধরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে গত ০৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। দেশ ত্যাগ করে আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে ১২তম জাতীয় সংসদ। এরই প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতা, সরকারের মন্ত্রী ও এমপিদের দেশ ছাড়ার চেষ্টা বা আত্মগোপনে যাওয়ার খবর আসছে গণমাধ্যমে।
সিদ্ধান্ত:
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া যমুনা টেলিভিশনের লোগো সম্বলিত “থাইল্যান্ডে পালাতে গিয়ে আটক আরাফাত” শিরোনামের ফটোকার্ডটি যমুনা টেলিভিশনের নয়। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এ সংক্রান্ত পোস্টগুলোকে ‘মিথ্যা’ সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।