ফেসবুকে যা ছড়িয়েছে: সংগীতশিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ এ-ই-ডস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এমন দাবির সাথে চ্যানেল আইয়ের ফটোকার্ডে তাঁর একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে
ফ্যাক্টওয়াচের সিদ্ধান্ত: দাবিটি বিকৃত। “মমতাজ এইডস রোগে আক্রান্ত” দাবিতে চ্যানেল আই কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি। মূলধারার কোনো গণমাধ্যমেও এ জাতীয় সংবাদ প্রকাশিত হয়নি। এমন দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রকার তথ্য-প্রমাণ নেই। তবে চ্যানেল আইয়ের ফটোকার্ডে সংবাদটি প্রকাশ হওয়াতে অনেকে ভেবেছেন সংবাদটি সত্য। যদিও মূল ঘটনা হলো সম্পাদনার মাধ্যমে চ্যানেল আইয়ের ফটোকার্ডের মতো আর একটি ফটোকার্ড তৈরি করে মমতাজকে নিয়ে এমন দাবি করা হয়েছে।
দাবিটি বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে কারণ মূল ধারার গণমাধ্যম চ্যানেল আইয়ের ফটোকার্ডে তথ্যটি এসেছে। চ্যানেল আয় যে ধরণের ফটোকার্ড তৈরি করে তার সাথে ভাইরাল ফটোকার্ডের মিল রয়েছে। তবে চ্যানেল আইয়ের ফেসবুক পেজে এবং ওয়েবসাইটে যেয়ে এ ধরণের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। অন্য কোনো গণমাধ্যমেও এ জাতীয় কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। অথচ তারকা সংগীতশিল্পী মমতাজের বিষয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রধানসারির প্রায় সব কয়টি গণমাধ্যমে তা প্রকাশিত হতো। অতীতে ঠিক এমনটিই দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত যে, চ্যানেল আই থেকে যে ধরণের ফটোকার্ড প্রকাশিত হয় তার সাথে ভাইরাল ফটোকার্ড মেলানো হলে দেখা যায়, চ্যানেল আইয়ের মূল ফটোকার্ডের মতো করে ভাইরাল ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। কেননা আসল এবং নকল ফটোকার্ডের মাঝে কয়েকটি পার্থক্য শনাক্ত করা গেছে। চ্যানেল আই ফটোকার্ডের শেষ অংশে “বিস্তারিত কমেন্টে” লিখে থাকে যেখানে বিস্তারিত সংবাদ থাকে। এখানে তা অনুপস্থিত। চ্যানেল আইয়ের গ্রাফিক্স এবং ভাইরাল ফটোকার্ডের গ্রাফিক্সে পার্থক্য রয়েছে। উল্লেখ্য, মমতাজের একটি গানের অনুষ্ঠান থেকে ছবি নেওয়া হয়েছে, এরপরে তা সম্পাদনা করে নকল ফটোকার্ডে বসানো হয়েছে। ফটোকার্ডের উপরে শিরোনাম উক্ত শিরোনাম দেওয়া হয়েছে। আর তা দেখে প্রাথমিক অবস্থায় মনে হয়েছে এমন সংবাদ চ্যানেল আই থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
বলাবাহুল্য, চ্যানেল আইয়ের ফেসবুক ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় গণমাধ্যমটি তাদের ওয়েবসাইটে মমতাজকে নিয়ে শেষ সংবাদ প্রকাশ করেছিল ১মার্চ ২০২৪ তারিখে।
সুতরাং, “সংগীতশিল্পী মমতাজ এইডস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।” এমন দাবি ভিত্তিহীন এবং চ্যানেল আইয়ের নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।