ধাওয়া খেয়ে পালিয়েছেন সংসদ সদস্য মমতাজ – মিথ্যা শিরোনামে পুরনো ভিডিও

14
ধাওয়া খেয়ে পালিয়েছেন সংসদ সদস্য মমতাজ – মিথ্যা শিরোনামে পুরনো ভিডিও ধাওয়া খেয়ে পালিয়েছেন সংসদ সদস্য মমতাজ – মিথ্যা শিরোনামে পুরনো ভিডিও

Published on: [post_published]

সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে এই মর্মে যে, ব্রিজ উদ্বোধন করতে যেয়ে জনগণের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে গিয়েছেন সংসদ সদস্য মমতাজ। তবে ৪ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিওটি দেখে সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে ধাওয়া দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটতে দেখা যায়নি। ভিডিওটিতে বরং এই সংসদ সদস্যকে ব্রিজ উদ্বোধন শেষ করে জনসাধারণের মাঝে বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ব্রিজ উদ্বোধনের ঘটনাটি ২০১৯ সালের। সে সময়ের মূলধারার সংবাদ মাধ্যমেও এমন কোনো প্রতিবেদন দেখা যায়নি যে, সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ব্রিজ উদ্বোধন করতে যেয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন।

ভাইরাল কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এবং এখানে

এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে বিভিন্ন কী-ওয়ার্ড সার্চ করা হয়। পরবর্তীতে Raj Bangla Media নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে “গ্রামের ব্রিজ উদ্বোধন করলেন মমতাজ। জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখলেন মমতাজ বেগম” ক্যাপশনে আপলোড হওয়া একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটি ২০ জুলাই ২০১৯ তারিখে আপলোড হওয়া এই ভিডিওটির দীর্ঘ  ৫ মিনিট ৪ সেকেন্ড। উল্লেখ্য, ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড হওয়া এই  ভিডিওটির সাথে বর্তমানে ভাইরাল ভিডিওটির হুবহু মিল রয়েছে। ভিডিওটি দেখুন এখানে

প্রসঙ্গত, আপলোড হওয়া ভিডিওটির শুরুতে দেখা যায়, সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ব্রিজ উদ্বোধন করতে এগিয়ে এসেছেন। এ সময়ে নেতাকর্মীরা ‘এমপি মহোদয়ের আগমন শুভেচ্ছা স্বাগতম’ ‘বন্দরবাসীর পক্ষ থেকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা’ বিভিন্ন শ্লোগান দেন। ব্রিজটির স্মারক ফলকে দেখা যায়, ১৬ জুলাই ২০১৯ তারিখে সেটি উদ্বোধন হয়েছে। চান্দহর ইউনিয়নে শাহাজাহান মাস্টারের জমির নিকট ব্রিজটির অবস্থান। উদ্বোধন শেষ করে সংসদ মমতাজ উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে বক্তব্য রাখেন। “জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু” বলে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। এসময়য় ভিডিওধারণকারী নিজেও তাঁর ক্যামেরা বন্ধ করেন।

পুরো ভিডিওটিতে এমন কিছু দেখা যায়নি, যা দেখে মনে হতে পারে সংসদ মমতাজকে কেউ তাড়া করেছেন যে কারণে তিনি দ্রুত স্থান ত্যাগ করেছেন।

সুতরাং, ২০১৯ সালের পুরনো এই ভিডিওটিতে ক্লিকবেইট ক্যাপশন ব্যবহার করে ফেসবুকে ভাইরাল করা হয়েছে। যার মাধ্যমে জনসাধারণ বিভ্রান্ত হচ্ছে।

সঙ্গত কারণে এ সকল ক্যাপশনগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে।

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.